আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

‘দাম্পত্য কলহ’ মেটাতে এসে খালা শাশুড়িসহ ৩ জনকে খুন

দশ মাস আগে বিয়ে করেন জহিরুল ইসলাম। তার  স্ত্রী অনামিকা অন্তঃসত্ত্বা। তবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে  বনিবনা না হওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে তার স্ত্রী শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছেন। কোনোভাবেই স্বামীর ঘরে আসতে চাইছেন না। স্বামী জহিরুল বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।

পরে কোনো উপায় না পেয়ে দাম্পত্য সমাধানের জন্য খালা শাশুড়ির কাছে যান জহিরুল। তবে কথা বলার এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রচণ্ড বাগবিতণ্ডা হয়। এরই জেরে খালা শাশুড়ি জেকি আক্তার ও পরে তার দুই ছেলেকে হত্যা করেন। তবে সাত মাসের শিশু ওজিহা সাক্ষ্য দিতে পারবে না ভেবে তাকে রেহাই দেন জহিরুল।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত সৌম্যের আদালতে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ট্রিপল মার্ডারের লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন জহিরুল ইসলাম। এর আগে পুলিশের কাছেও তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

বুধবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি জানান, ঘটনার প্রায় ২০ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ জহিরুলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। নিহত জেকি আক্তারের সঙ্গে জহিরুলের স্ত্রী ও শাশুড়ির মোবাইল ফোনের আলাপচারিতার সূত্র ধরেই ঘটনার রহস্য উদঘাটন হয়। এ ছাড়া স্থানীয়রাও এ বিষয়ে সহযোগিতা করেছে। এ ঘটনায় জেকি আক্তারের বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে জহিরুল ইসলামকে আসামি করে বাঞ্ছারামপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) সকালে উপজেলার আইয়ূবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানি গ্রামের বাসিন্দা ও সৌদি আরব প্রবাসী শাহ আলম সরকারের স্ত্রী জেকি আক্তার, তার দুই ছেলে মাহিন ও মহিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে ওজিহা নামে জেকি আক্তারের সাত মাসের শিশুকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন