আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

শ্রমিকদের আন্দোলন: যানবাহন ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো গাজীপুরের কোনাবাড়ী, শফিপুর ও মৌচাক এলাকায় আন্দোলন করছে গার্মেন্টস ও কারখানার শ্রমিকরা। আন্দোলন চলাকালে তারা একটি জিপ গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন এবং অর্ধ শতাধিক বাস-ট্রাকে ভাঙচুর চালিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ৯টার পর থেকেই কোনাবাড়ী, শফিপুর ও মৌচাক এলাকার আশপাশের শ্রমিকরা মহাসড়কে নেমে আন্দোলন শুরু করে। এসময় তারা বেতন বৃদ্ধির দাবি জানান। এদিকে পরিস্থিতি বিবেচনায় কয়েকটি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার মো. হারুনিএ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চন্দ্রার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার হোসাফ মিটান কারখানার সামনে একটি জিপ গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে শ্রমিকরা। গাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ইফতেখার হোসেন রায়হান চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্য রওনা হয়েছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

গাজীপুর জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. সুলতান উদ্দিন সরকার বলেন, শ্রমিক আন্দোলনে আমাদের ৫০/৬০টিরও বেশি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। অনেকেই মোবাইল ফোন ভাঙচুরের তথ্য দিয়েছে। ভাঙচুর করা বেশিরভাগ বাসই যানজটে আটকে আছে, এগুলো স্ট্যান্ডে এলে প্রকৃত সংখ্যা আরও বাড়বে।

এর আগেকারখানা শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ও তেলিরচালা এলাকায় অবস্থিত লগোজ এ্যাপারেলস লিমিটেড, এটিএস এ্যাপারেলস লি. হাইড্রোঅক্সাইড লিমিটেড এবং কোনাবাড়ি এলাকার এলজেড লিমিটেড, ওরিয়েন্ট এলিউর লিনজেরী লিমিটেড নামক কারখানার শ্রমিকরা সকালে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। শ্রমিকরা তাদের বেতন ২৩ হাজার টাকা করার দাবি জানায়। এছাড়া মৌচাক এলাকার গ্লোবাস, কোকোলাসহ বেশ কয়েকটি কারখানা শ্রমিকরা একই দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন