দেড় বছরের শিশুকেও পাঠানো হলো কারাগারে!
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে হত্যার দায়ে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে অন্যতম হলেন মৃত গৃহবধূর ননদ হোছনা বেগম (২৫)। আদালতে তার কোলে এক দুধের শিশুকে দেখা গেছে। আদালতের রায় ঘোষণার পর মায়ের সঙ্গে কারাগারে যেতে হয়েছে দেড় বছরের ওই শিশুকেও। নিষ্পাপ এই শিশুটি যেহেতু মায়ের বুকের দুধ পান করে; তাই আদালত তাকেও মায়ের সঙ্গে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. জাহিদুল হক এ রায় ঘোষণা করেন। শিশুটির নাম মাদিহা আক্তার। সে সাদেকপুর গ্রামের মিজান মিয়া-হোছনা দম্পতির মেয়ে।
আদালত প্রাঙ্গণে দেখা গেছে, মাকে দুই হাতে জড়িয়ে ধরে এদিক-ওদিক তাকাচ্ছিল মাদিহা। বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণের এ দৃশ্য প্রত্যক্ষদর্শীদের হৃদয়ে দাগ কেটেছে।অনেকের অভিমত, দুধের শিশুটি কী বুঝতে পেরেছে মায়ের সঙ্গে চার দেয়ালে বন্দি জীবনে যাচ্ছে সে? না বুঝলেই বা কী হবে— এ যেন চরম বাস্তবতা।
আদালতের পেশকার মো. জিয়াউল হক ব্ষিয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, শিশুটি যেহেতু মায়ের বুকের দুধ পান করে। তাই আইন অনুযায়ী বিচারক তাকেও মায়ের সঙ্গে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে চুনারুঘাট উপজেলার পঞ্চাশ গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা আয়েশা আক্তারকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মৃতের বাবা আব্দুস সাত্তার ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর চুনারুঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।