খুলছে রাফাহ ক্রসিং, গাজা ত্যাগ করছেন বিদেশিরা
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা থেকে বের হওয়ার একমাত্র পথ মিসরের সঙ্গে সংযুক্ত রাফাহ ক্রসিং খুলে দিয়েছে দেশটির সরকার। গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর ওই ক্রসিং পয়েন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। অবশেষে যুদ্ধের ২৬ দিন পর স্থানীয় সময় বুধবার (০১ নভেম্বর) অবশেষে খুলে দেওয়া হয় গাজার লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত এই রাফাহ ক্রসিং।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি বাংলা’র প্রতিবেদনে বলা হয়, রাফাহ ক্রসিং দিয়ে বিদেশি নাগরিক এবং গুরুতর অসুস্থ ফিলিস্তিনিদের মিশরে প্রবেশ করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এর আগে এই ক্রসিং দিয়ে খাবার ও সাহায্য বহনকারী ট্রাক ঢুকতে দেয়া হলেও বিদেশি নাগরিকদের এবারই গাজা ত্যাগের সুযোগ দেয়া হলো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার রাফাহ ক্রসিং দিয়ে ৫০০ বিদেশি নাগরিককে মিশরে প্রবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে কতজন ফিলিস্তিনি গাজা ত্যাগের সুযোগ পাচ্ছেন, তা পরিষ্কার নয়।
তবে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ৮৮ জন ফিলিস্তিনি গাজা ত্যাগের সুযোগ পেয়েছেন। তবে মিশরীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, এই সংখ্যা ৮১ জন।
রয়টার্স জানিয়েছে, কাতারের মধ্যস্থতায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় মিশর, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে আলোচনার পর গাজা থেকে এসব মানুষকে বের হওয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ ২০১২ সাল থেকে কাতারে হামাসের দপ্তর রয়েছে।
এদিকে, গাজায় এ সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো ফোন এবং ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। ফোন এবং ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী সংস্থা প্যালটেল জানিয়েছে, ‘এটি পুরোপুরি বন্ধ’ করে দেয়া হয়েছে।
গাজার ভেতরে স্থল অভিযান চালানোর সময় মঙ্গলবার ইসরায়েলের ১১ জন সৈন্য নিহত হয়েছে বলে আইডিএফ জানিয়েছে। ৭ই অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত সংঘর্ষে ইসরায়েলের মোট ৩২৬ সৈন্য নিহত হয়েছে দেশটি জানিয়েছে।
গত কয়েকদিনের মতো গাজার বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং একজন হাসপাতাল পরিচালকের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, এ হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। বিভিন্ন ছবিতে দেখা যায়, হামলা স্থলে বড় গর্ত তৈরি হয়েছে এবং সেখানকার ভবন মাটির সাথে মিশে গেছে।
ইসরায়েল গত সাতই অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় বিমান হামলা শুরু করেছে। হামাসের ওই হামলায় ১৪০০ ইসরায়েলি নিহত হয় এবং ২৩৯ জনকে জিম্মি করা হয়।
গাজায় থাকা হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, সাতই অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজা ভূখণ্ডে মোট ৮,৮২৫ জন নিহত হয়েছে।