আর্কাইভ থেকে জাতীয়

নির্বাচনের পরিবেশটি অনুকূল নয়, আমরা স্বীকার করেছি : সিইসি

বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনের সামর্থ্য কমিশনের নেই। নির্বাচনের বড়জোর দুই মাস সময় আছে। আমাদের কিছু কাজ দ্রুততার সঙ্গে করতে হবে। কিছু কিছু দলের প্রতিনিধিরা বলেছেন যে, নির্বাচনের পরিবেশটি এখনো অনুকূল নয়, আমরা সেটা স্বীকার করেছি। আসলে পরিবেশটা অনুকূল-প্রতিকূল হওয়াটা আপেক্ষিক। বললেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আজ শনিবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক বিষয়ে আলোচনার জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন সিইসি। সিইসি বলেন, কিছু কিছু দলের প্রতিনিধিরা বলেছেন যে, নির্বাচনের পরিবেশটি এখনো অনুকূল নয়, আমরা সেটা স্বীকার করেছি। আসলে পরিবেশটা অনুকূল-প্রতিকূল হওয়াটা আপেক্ষিক। রাজনৈতিক যে সংকট রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে আমাদের প্রত্যাশা সবসময় ইতিবাচক। কিন্তু সেই সংকটগুলো নিরসন করার সামর্থ্য আমাদের নেই। আমরা তাদেরকে বলেছি আপনারা নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে পারতেন। আমাদের নির্বাচনের মধ্যে বিদেশিরা এসে অনেক পরামর্শ দিচ্ছে। কিন্তু আপনারা রাজনীতিবিদ হিসেবে দিতে পারছেন না। আপনারা তো রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে এই দায়িত্বগুলো নিতে পারতেন। সংলাপ করে নিজেদের মধ্যে একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারতেন। হাবিবুল আউয়াল বলেন, কেউ কেউ মনে করে যে, নির্বাচন কমিশন একাই একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সামর্থ্য সীমিত। আমরা নির্বাচন আয়োজন করি কিন্তু নির্বাচন পরিচালনার যে দায়িত্ব সেটা হস্তান্তর করে দিতে হয়। তাদের ওপর আমাদের নজরদারি থাকে কিন্তু সবচেয়ে বেশি নজরদারি থাকতে হয় রাজনীতিবিদদের। আর সেটা হয় রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে। আমরা আশা করি যে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটা যেন সবার সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে হয়। আমি এককভাবে সবকিছু ঠিক করে দেব তা নয়। যার যার দায়িত্ব থেকে তাদেরকেও স্ব-স্ব অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

সিইসি বলেন, কেউ পছন্দ করুক আর না করুক আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ আমরা প্রত্যাশা করি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা কম সময় নিয়ে দাওয়াত দিয়েছি। যদি দ্রুততার কারণে কোনো দল অংশগ্রহণ না করে থাকেন, তারা ইচ্ছা পোষণ করলে কমিশন আলাপ করে তাদের কথা শোনার চেষ্টা করবে। কারণ আমরা সবার সঙ্গে মতবিনিময় করতে চাই। তিনি বলেন, নির্বাচনের বড়জোর দুই মাস সময় আছে। আমাদের কিছু কাজ দ্রুততার সঙ্গে করতে হবে। নির্বাচন বিষয়ে যে প্রস্তুতিগুলো গ্রহণ করেছি তা আপনাদের অবহিত করা। কারণ রাজনৈতিক দলগুলোই হচ্ছে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় এবং নির্বাচনের প্রধান অংশীদার। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আলোচনায় বসার জন্য চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে দুই ধাপে বিএনপিসহ ১৮টি রাজনৈতিক দল ইসির সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেয়নি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন