আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

টিপু হত্যা: ওমর ফারুককে বহিষ্কার করলো আ.লীগ

আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু এবং সামিয়া আফরান প্রীতি হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ১০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুককে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

আজ শনিবার (২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ জানান, টিপু হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে র্যা ব তাকে গ্রেপ্তার করেছে। সেখানে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সে কারণে মহানগর আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তার দায়ভার তো মহানগর আওয়ামী লীগ নিতে পারে না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।    

এর আগে টিপু হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ওমর ফারুকসহ চারজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। চার আসামিই ২০১৩ সালে হত্যার শিকার যুবলীগ নেতা মিল্কী অনুসারী বলে জানিয়েছে র‌্যাব। 

রমনা ও মিরপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গেলো শুক্রবার (১ এপ্রিল) চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি তিনজন হলেন আবু সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ (৩৮), নাসির উদ্দিন ওরফে কিলার নাসির (৩৮) ও মোরশেদুল আলম ওরফে কাইল্যা পলাশ (৫১)।

গেলো বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাতে টিপু গাড়িতে বাসায় ফিরছিলেন। শাহজাহানপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে পৌঁছলে তাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়ে দুর্বৃত্তরা। এতে টিপু ও তার গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় টিপুর গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী প্রীতিও গুলিবিদ্ধ হন। 

তিনজনকেই রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদুল ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনায় পরের দিন নিহত টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় মামলা করেন। তবে কারও নাম উল্লেখ করেননি তিনি।

এ সময় র্র্র‌্যাব জানায়, ২০১৩ সালে রাজধানীর গুলশান শপার্স ওয়ার্ল্ডের সামনে মিল্কী হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা তার সহযোগী ছিলেন। এ ঘটনায় টিপু জড়িত ছিলেন বলে সন্দেহ করতেন তারা।ওই সময় মিল্কী হত্যায় যে মামলা করা হয়, তাতে এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন টিপু। কিন্তু বিচারিক কার্যক্রমে তার নাম বাদ পড়ে।এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মনে।

মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগী ও হত্যার পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে বিরোধ ছিল। মতিঝিল এলাকায় চাঁদাবাজি, স্কুল-কলেজে ভর্তি বাণিজ্য, আধিপত্য বিস্তার নিয়েও তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। মূলত এসবকে কেন্দ্র করেই টিপুকে হত্যা করা হয়।

তিনি আরো বলেন, টিপুকে হত্যার জন্য ১৫ লাখ টাকা বাজেট করেন পরিকল্পনাকারীরা। আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন মুসা টিপুকে হত্যার দায়িত্ব নেন। তবে ঘটনার ১২ দিন আগে তিনি দুবাই চলে যান। সেখানে বসে কিলার নিয়োগ থেকে শুরু করে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

তাসনিয়া রহমান 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন