শ্রীলঙ্কায় ৩৬ ঘণ্টার কারফিউ, বন্ধ ফেসবুকও
অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। দুই কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার এ দ্বীপ রাষ্ট্রটি ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর এবার এতোটা করুন অবস্থায় দেশটি। ওখানে চলছে ৩৬ ঘণ্টার কারফিউ। এর ওপর দেশটিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
গেলো শনিবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬ টায় শুরু হওয়া কারফিউ চলবে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। দেশজুড়ে ব্যাপক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ায় কারফিউ জারি করে দেশটির সরকার।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিক্ষোভের শঙ্কায় এবার দেশটিতে সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় গেলো শনিবার (২ এপ্রিল) দেশটির সরকারের নির্দেশে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ রাখা হয়েছে।
শ্রীলঙ্কা সরকার গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ভুল তথ্য ঠেকাতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শ্রীলঙ্কায় অর্থনীতি ধসে পরার জন্য সরকারকে দায়ী করে গেলো বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাতে কলম্বোর মিরিহানায় প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ শুরু করে কয়েকশ মানুষ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিক্ষোভকারীদের। টিয়ার শেল ও জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। সংঘর্ষে আহত হন অন্তত ৫০ জন। বিক্ষোভের ঘটনায় ৪৫ জনকে আটক করা হয়।
বিদ্যুৎ বিভ্রাট, গ্যাস ও পানির তীব্র সংকট, খাদ্য সংকট, প্রয়োজনীয় পণ্যের আকাশচুম্বী দামসহ নানা সমস্যার বেড়াজালে আটকা পরেছে শ্রীলঙ্কার মানুষ। গেলো বছরের ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার বাণিজ্য ঘাটতি দ্বিগুণ হয়ে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। গত মাসে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই দশমিক তিন বিলিয়ন ডলার। তাছাড়া জুলাইয়ে বন্ড পরিশোধে ব্যয় হয় এক বিলিয়ন ডলার।
অনন্যা চৈতী