২০১৯ সালের পুনরাবৃত্তি?
গেলো বিশ্বকাপেও গ্রুপ পর্বে ৯ ম্যাচে মধ্যে কেবল একটিতে হেরে ১৫ পয়েন্টে সবার শীর্ষে থেকে সেমিফাইনালে পা রেখেছিল ভারত। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড পাকিস্তানের সাথে নেট রানরেট হিসাব করে করে কোন রকমে সেমিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।
প্রায় চার বছর পর একই চিত্রে দাঁড়িয়ে দল দুটি। ভারত এবারের আসরে গ্রুপ পর্বে একটি ম্যাচেও দেখেনি হারের মুখ। সব গুলো ম্যাচেই জিতেছে বেশ দাপটের সাথেই।
অন্য দিকে নিউজিল্যান্ড আসর শুরু করেছিল দারুণ ভাবেই। প্রথম চার ম্যাচেই জয় পাওয়ার পর হয়তো কিউইদের সেমি না খেলা নিয়ে কোন অনিশ্চয়তা দেখেননি কেউ। তবে পরের চার ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর তৈরি হয়েছিল সংশয়। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে পিছনে ফেলেই তারা জায়গা পেয়েছে সেমিফাইলে।
দুই দলের শক্তি মত্তার দিকে তাকালে ভারতের সবাই ব্যাট কিংবা বল আছে দারুণ ছন্দে। এখন পর্যন্ত পাঁচশর বেশি রান করা চার ব্যাটসম্যানের দুজনই ভারতের। ভিরাট কোহলি ৫৯৪ ও রোহিত শার্মা ৫০৩ রান। এছাড়াও শ্রেয়াস আয়ার তার রান সংখ্যা চারশোর উপরে , কেএল রাহুল তিনিও তিনশোর উপরে রান করেছেন। শুভমান গিল, তার রান সংখ্যাও প্রায় তিনশোর কাছাকাছি।
বল হাতে ১৫ বেশি উইকেট পেয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ ১৭, মোহাম্মদ শামি ১৬ ও রবীন্দ্র জাদেজা ১৬। এছাড়াও কুলদীপ যাদপ ১৪ টি ও মোহাম্মদ সিরাজ ১২ টি উইকেট পেয়েছেন।
নিউজিল্যান্ডের দিকে তাকালে তারা চার টি ম্যাচ হেরেছে তবে তাদের বেশ কিছু ব্যাটার ভালো রান পেয়েছেন। রাচিন রবীন্দ্র ৩ সেঞ্চুরিতে পাঁচশোর উপরে রান করেছেন। মিচেলের রান সংখ্যা ৪১৮। ডেভেন কনওয়ে তার রান সংখ্যা সাড়ে তিনশোর উপরে।
বল হাতে সান্টার ১৬ উইকেট পেয়েছেন, বোল্ট পেয়েছেন ১৩ উইকেট। ম্যাট হেনরি ১১ ও লকি ফারগুসনের উইকেট সংখ্যা দশ।
বিশ্বকাপের আগে এই দুই দলের সব শেষ পরিসংখ্যান যদি বলি, এই বছরেই জানুয়ারিতে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলে হোয়াইট ওয়াশ হয়েছিল নিউজিল্যান্ড।
এই ম্যাচে সন্দেহ ছাড়াই নিউজিল্যান্ডের থেকে এগিয়ে থাকবে ভারত। তবে আগের আসরে উড়তে থাকা ভারতকে যেভাবে বিদায় করেছিলো নিউজিল্যান্ড। চার বছর পর সেটারই পুনরাবৃত্তি হয় কিনা সেটি কিন্তু দেখার বিষয়।