শিক্ষা

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হতে পারে ২০৩১ সালের পর

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের সমন্বয়ে গঠিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’র শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে ২০৩১ সাল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপ-পরিচালক মো. জামাল উদ্দীন।

রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপ-পরিচালক মো. জামাল উদ্দীন বলেন, ‘নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম মাত্র চূড়ান্ত হয়েছে। এখন এর জন্য প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করতে হবে, যা পরে সংসদে পাস করাতে হবে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরই বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের কাজ শুরু হবে। পুরো শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে ২০৩১ সাল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।’

তিনি জানান, ইউজিসি চেয়ারম্যান আজ সকালে সাত কলেজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নাম ঘোষণা করেছেন, যা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির কার্যক্রম শুরুর আগে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে মো. জামাল উদ্দীন বলেন, চলতি বছরও ঢাবির অধীনে অনার্সে ভর্তি করা হবে। ঢাবি নতুন একটি প্রশাসনিক আইনের মাধ্যমেই সাত কলেজের কার্যক্রম চালাবে।

এর আগে, সকালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) শিক্ষার্থীদের ৩২ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত গঠিত কমিটির সদস্যদের বৈঠকে রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের সমন্বয়ে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সময়োপযোগী শিক্ষাপদ্ধতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। এসব কলেজ হলো— ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।

পরে কলেজগুলোর পরিচালনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনিয়ম ও অদূরদর্শিতার অভিযোগ তুলে গত বছরের অক্টোবর থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিলের দাবি ওঠে এবং সরকার ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করে।

কমিটির সদস্যরা তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে সম্ভাব্যতা যাচাই, ক্যাম্পাস পরিদর্শন, সম্মানজনক পৃথকীকরণের রূপরেখা প্রণয়ন এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেন। সর্বশেষ গেলো ১৮ ফেব্রুয়ারি ইউজিসি সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের কাছ থেকে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করে।

 

এসি//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন