জামিন পেয়েও কারাগারে বিএনপির ১৭ নেতাকর্মী
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ১৭ জন বিএনপি নেতাকর্মী জামিন পেয়েও কারাগার থেকে বের হতে পারেননি। তাদেরকে অন্য এক নাশকতা মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) সকালে তাদেরকে মুক্তি দেয়ার জন্যে কারা ফটকে নিয়ে আসেন। সেখান থেকেই তাদেরকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে পুনরায় কারাগারের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার।
বিএনপি নেতারা হলেন, মনিরামপুরের ঝাঁপা গ্রামের তারিকুর রহমান এডিশন, কোমলপুরের আবুল কাশেম, নেহালপুরের জি এম আছমতুল্লাহ আছমত, হোগলাডাঙ্গার শিমুল হোসেন, পাড়িয়ালীর প্রভাষক নাজমুল হক লিটন, হাকিমপুরের আফসার আলী, গোবিন্দপুরের হারুন অর রশিদ, মনোহরপুরের নাজিম উদ্দিন সরদার, জলকর রোহিতার মতলেব বিশ্বাস, আড়সিংগাড়ীর হামিদুল ইসলাম, কাজিয়াড়ার তহিদুল মোল্লা, মো. সুমন, মো. হাসান, সাগর হোসেন, খানপুরের আব্দুস সাত্তার, আটঘরার আব্দুরর রাজ্জাক ও সালামতপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম।
মামলার আইনজীবী অ্যাড. শহীদ ইকবাল হোসেন বলেন, ‘দেশে আইন বলতে কিছু নেই। পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের অহেতুক হয়রানি করছে। কেবলমাত্র চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে দূরে রাখতে এটা করছে।’
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার বলেন, ‘মনিরামপুরের ১৭ নেতাকর্মী রোববার আদালতের মাধ্যমে জামিন পান। আদালত থেকে জামিন পেলেও থানার নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় তাদেরকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘নেতাকর্মীরা একটি মামলায় জামিনে থাকলেও পুরনো একটি নাশকতা মামলায় এসব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তাই কারাফটকের মধ্যে তাদের শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’