আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ডনবাস যুদ্ধ হবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো

পশ্চিমা বন্ধু দেশগুলোর কাছে আরও অস্ত্র এবং মস্কোর বিরুদ্ধে বড় নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছে কিয়েভ। তা না হলে পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ান হামলার মাত্রা ন্যাটো সদস্যদের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা মনে করিয়ে দেবে বলে জানিয়েছে তারা। 

বৃহস্পতিবার  (0৭ এপ্রিল) ব্রাসেলসে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা এক বৈঠকে জানান, ‘আপনারা আমাদের দ্রুত সাহায্য করুন না হলে অনেক লোক মারা যাবে।’ কুলেবা আরো বলেন, ‘আমার কোনো সন্দেহ নেই যে ইউক্রেনের কাছে যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র থাকবে। আর এই ডনবাসের যুদ্ধের হাজার হাজার ট্যাংক, সাঁজোয়া যান, প্লেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা মনে করিয়ে দেবে।’ 

এদিকে ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ সাংবাদিকদের বলেছেন, জোট ইউক্রেনকে সমর্থন করতে সম্মত হয়েছে, অস্ত্র দিচ্ছে এবং রাসায়নিক ও জৈবিক হুমকির বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য সাইবার নিরাপত্তা সহায়তা ও সরঞ্জামও দেবে।

এদিকে ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘জোট ইউক্রেনকে সমর্থন করতে সম্মত হয়েছে, অস্ত্র দিচ্ছে এবং রাসায়নিক ও জৈবিক হুমকির বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য সাইবার নিরাপত্তা সহায়তা ও সরঞ্জামও দেবে।’  

ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার দ্বন্দ্বের সূত্রপাত এই ন্যাটোকে ঘিরেই। ২০০৮ সালে ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করার পর থেকে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে তিক্ততা শুরু হয়।

ইউক্রেনেকে ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহার করতে বলেছিলো রাশিয়া। কিন্তু ইউক্রেন তাতে আমল না দেওয়ায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। অভিযান শুরুর দুই দিন আগে, ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। এই দুই ভূখণ্ডকেই একত্রে ডনবাস রিপাবলিক বলা হয়।

ইতোমধ্যে ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকা থেকে সেনাদের ডনবাসে সরিয়ে আনছে রাশিয়া। দনেতস্ক  ও লুহানস্কে দিন দিন তীব্র হচ্ছে রুশ-ইউক্রেন সেনাদের লড়াই। 

হাসিব মোহাম্মদ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন