গাজা যুদ্ধে ইসরাইলকে দেয়ার মতো অর্থ যুক্তরাষ্ট্রের নেই
মার্কিন সেনা সদর দপ্তর পেন্টাগন স্বীকার করেছে যে, গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের পক্ষে যুক্ত হওয়ার জন্য যে পরিমাণে অর্থ প্রয়োজন তা তাদের হাতে এ মুহূর্তে নেই। গাজা যুদ্ধ শুরুর প্রথম থেকেই ইহুদিবাদী ইসরাইলের পক্ষে শক্ত অবস্থান নেয়ার কারণে সারা বিশ্ব আমেরিকা সমালোচনার মুখে পড়েছে।
মার্কিন গণমাধ্যম পলিটিকো এক প্রতিবেদনে বলেছে, ইহুদিবাদী ইসরাইলকে সমর্থন দেয়ার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার পক্ষ থেকে যে সেনা ও সামরিক সরঞ্জামের সমাবেশ ঘটানো প্রয়োজন সেজন্য পেন্টাগনের হাতে প্রয়োজনীয় অর্থ নেই।
পেন্টাগনের অন্যতম মুখপাত্র ক্রিস শেরউড বলেন, ‘আমরা একথা একেবারে প্রকাশ্যেই বলছি যে, বর্তমান ঘটনাগুলোর প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্টের অনুরোধে ২০২৪ অর্থ বছরের বাজেটে কিছু সংশোধন আনা হয়েছে। তবে, ২০২৪ সালে ইসরাইলের জন্য কোনো সম্পূরক বাজেট ছিল না।’
সামরিক বাহিনীসহ মার্কিন ফেডারেল সরকার বর্তমানে একটি স্টপগ্যাপ বিলের অধীনে চলছে যা সাময়িকভাবে সরকারকে চলার মতো ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এই স্টপগ্যাপ বাজেটের কারণে জুন মাস থেকে সরকার শাটডাউন এড়াতে সক্ষম হয়েছে।
পলিটিকোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাস্তবতা হচ্ছে- মধ্যপ্রাচ্যে সম্প্রতি যে সেনা সমাবেশ ঘটানো হয়েছে তার কোনো পরিকল্পনা ছিল। এজন্য মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগকে বিদ্যমান অপারেশন এবং রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত বাজেট থেকে অন্য খাতে বরাদ্দ দিতে অর্থ উত্তোলন করতে হয়েছে।