আর্কাইভ থেকে জাতীয়

নির্বাচন ও বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে যা বললো জাতিসংঘ

‘বাংলাদেশের আসছে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন অবাধ,নিরপেক্ষ,অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ  দেখতে চায় জাতিসংঘ। এজন্য জনগণের ভোটাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতে সাংবাদিক, সুশীল সমাজসহ সব পক্ষকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এই তাগিদ দেন।

জাতিসংঘের ওই ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাংবাদিক  লাবলু হাসানের প্রশ্ন ছিলো-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘসহ গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায়। সম্প্রতি ঘোষিত তসফিল অনুযায়ী বাংলাদেশে আসছে ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে অংশ নিতে প্রায় তিন হাজার মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। বাংলাদেশে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক’ নির্বাচনের জন্য সব সময় আহ্বান করছে জাতিসংঘ। এমতাবস্থায়, বিশ্ব সংস্থাটির পক্ষে আবারও সেই একই আহ্বান জানানোই কি যথেষ্ট হবে?

জবাবে সুষ্ঠু নির্বাচন প্রসঙ্গে নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন অ্যান্থনি গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক। তিনি বলেন, আমি আগেও আপনাদের বলেছি এবং জাতিসংঘের মহাসচিবও বলেছেন, আসছে নির্বাচন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করছেন এমন সব অংশীজন, জনগণ, দল, মিডিয়া সবাই শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনী প্রক্রিয়া প্রচারের জন্য যা যা করার দরকার তা-ই যেন তারা করতে পারে।’

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশি ওই সাংবাদিক আসছে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো পরামর্শ আছে কিনা জানতে চান। তার প্রশ্ন ছিলো- ‘বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করতে আগ্রহী’।ক্ষমতাসীনদের অভিযোগ ২৮ অক্টোবর থেকে হরতাল-অবরোধের নামে বিএনপিসহ কয়েকটি দল জনজীবনে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এই ধরনের বিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের জন্য  জাতিসংঘের কি কোনো পরামর্শ আছে?

জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘আমাদের পরামর্শ হলো- নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত সরকার, বিরোধী দল, সাংবাদিক, নাগরিক সমাজসহ সবাই মিলে নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য কাজ করুন। যাতে মানুষ স্বাধীনভাবে নিজেদের মতপ্রকাশ করতে পারে, স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে এবং যাতে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ হয়।

গত সপ্তাহে স্টিফেন ডুজারিক একই আহ্বান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, তারা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অন্যান্য সংগঠনের প্রতিবেদন দেখছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা সব পক্ষকে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরির আহ্বান জানায়, যেখানে জনগণ অবাধে তাদের ভোট দিতে পারে, মতপ্রকাশ করতে পারে কোনো ধরনের ভীতি ও হয়রানি ছাড়াই।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন