‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’, পান্টের ওপর সুনীল গাভাস্কারের ক্ষোভ
ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি সুনীল গাভাস্কার। হার্শা ভোগলের সঙ্গে পাশাপাশি বসে ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন। ভারতের রিশাব পান্ট তখন নিজের উইকেট হারিয়ে বসেছেন। আর এতেই বেজায় বিরক্ত হয়েছেন সুনীল।
‘স্টুপিড! স্টুপিড! স্টুপিড!’
সুনীল গাভাস্কার তখন এবিসি স্পোর্ট'র হয়ে ধারাভাষ্য কক্ষে ছিলেন। তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিলেন পান্ট ও রবীন্দ্র জাদেজা। পাঁচ উইকেট হারানো ভারতের হয়ে তখন উইকেটে থাকাটা খুবই জরুরি ছিল। দিনের দশম ওভারে স্কট বোল্যান্ডের তৃতীয় বলে পান্ট ফিরলেন নিজের পুরোনো ঢঙে। কিন্তু এবার তা কাজ করেনি।
অফ স্টাম্পের দিকে সরে গিয়ে ফাইন লেগের ওপর দিয়ে বল তুলে দিতে চাইলেন পান্ট। ভারসাম্য হারিয়ে ফেললেন। এই যাত্রায় বেঁচে গেলেন তিনি। তবে চতুর্থ বলে একইরকম শট খেলতে গিয়ে বিপত্তি বাঁধালেন। ব্যাটের কানায় লেগে থার্ডম্যান অঞ্চলে ক্যাচ ওঠে। সেখানে নাথান লায়ন সহজ ক্যাচ নেন।
পান্টের এই আউট দেখে অনেকটা রেগে গেলেন সুনীল। তিনি বলেন, ‘দুজন ফিল্ডার থাকতেও শট খেলেছে। আগের শটটি মিস করেছে এবং দেখুন ক্যাচটি কোথায় ধরেছে, ডিপ থার্ডম্যান ক্যাচটি নিয়েছে। এটা হলো, নিজের উইকেট ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে আসা!’
‘তোমাকে (পান্ট) পরিস্থিতিটা ভালো করে বুঝতে হবে। এটা আমার স্বাভাবিক খেলা—এমন বলার সুযোগ নেই। আমি দুঃখিত, এটা তোমার স্বাভাবিক খেলা না।’
'এটা একটা বোকামো (স্টুপিড) শট। এটা দলকে আরও বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া।’ পাশে থাকা হার্শা ভোগলে তখন বলেন, ‘আমার মনে হয়, ড্রেসিংরুমে এটা নিয়ে খুব বেশি কথা হবে না।’
গাভাস্কার তখনো রেগে আছেন, তিনি উত্তর দেন, ‘তার ড্রেসিংরুমে যাওয়া উচিত নয়। তার অন্য (অস্ট্রেলিয়া) ড্রেসিংরুমে যাওয়া উচিত।’
এম এইচ//