আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

এভারেস্টের ফুটবল মাঠে পর্বতারোহীর মৃত্যু

এভারেস্টের ফুটবল মাঠে মৃত্যু হল এক পর্বতারোহীর। এভারেস্ট অভিযানে নেমে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লেন এক পর্বতারোহী। নগিমি শেরপা নামে নেপালি পর্বতারোহীর দেহ উদ্ধার হয়েছে বিপজ্জনক খুম্বু আইসফল চূড়ায়।  উদ্ধারের সময় তার দেহ বসা অবস্থায় ছিলো। 

মার্কিন পর্বতাভিযান সংস্থা আইএমজির দাবি, খুম্বু আইসফল চূড়ায় ‘ফুটবল মাঠ’ নামে পরিচিত একটি ট্রেইলে পিঠে ব্যাকপ্যাক নিয়ে বসে থাকা অবস্থায় ৩২ বছরের ওই নেপালি পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়েছে। ইতোমধ্যে মৃতদেহটি পর্বতের চূড়া থেকে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, আগেও বহুবার এভারেস্ট অভিযান করেছেন এই নেপালি শেরপা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে দুইশর বেশি শেরপা এবং পর্বতারোহী এভারেস্টসহ হিমালয়ের নানা পর্বত চূড়ায় অভিযান করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। চলতি মৌসুমে নেপাল সরকার ৪২টি দেশের ২০৪ জন পর্বতারোহীকে এভারেস্ট অভিযানের অনুমতি দিয়েছে। সেই তালিকায় নাম ছিল নেপালের শেরপা নগিমিরও।

শুধু নগিমিই নন, সম্প্রতি একইভাবে এভারেস্ট অভিযানে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন গ্রিক পর্বতারোহী অ্যান্তোনিয়স সাইকারিস। ধৌলাগিরির ২৬ হাজার ৭৯৫ ফিট উঁচুতে ওঠার পর অত্যধিক ঠাণ্ডায় মৃত্যু হয় তার। বিশ্বের সপ্তম উচ্চতম পর্বতচূড়া অভিযান সম্পন্ন করার আগেই দুর্ভাগ্যজনক পরিণতি হয় এ বিদেশি পর্বতারোহীরও।

বছরের এই সময়টা অর্থাৎ বসন্তকালে এভারেস্টের তাপমাত্রা অপেক্ষাকৃত উষ্ণ থাকে। হাওয়ার গতিবেগও সাধারণত শান্ত থাকে। ফলে এ সময়ই অধিকাংশ পর্বতারোহীকে অভিযানের অনুমতি দেওয়া হয়। ২০২০ সালে মহামারি পর্বে পর্বতারোহণ বন্ধ ছিল। করোনার হাত থেকে রেহাই পায়নি মাউন্ট এভারেস্টও। বিভিন্ন দেশের সীমা ছাড়িয়ে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গেও পৌঁছে গিয়েছিল করোনাভাইরাস।

জানা যায়, নরওয়ের এক পর্বতারোহীর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ হয়। ফলে বাকি যারা এভারেস্ট জয় করতে পাড়ি দিয়েছিলেন, তাদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা গিয়েছিল।

হাসিব মোহাম্মদ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন