আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রির আগের দিনেই উপচেপড়া ভিড়

ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রির আগের দিনেই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে উপচেপড়া ভিড়। পরিবারের সদস্যদের আগেভাগে বাড়ি পাঠাচ্ছেন অনেকে।

বিগত দু'বছর করোনার কারণে ট্রেন চলাচলে বিধি-নিষেধ থাকায় অগ্রিম টিকিট বিক্রি বন্ধ ছিল। কিন্তু এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এবছর পুরোদমেই টিকিট বিক্রি কার্যক্রম চলবে এবং সবগুলো ট্রেনেই চলবে।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, এবছর ৫০ শতাংশ টিকিট দেয়া হবে অনলাইনে এবং ৫০ শতাংশ টিকিট দেয়া হবে কাউন্টারে।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হবে। কাউন্টারের পাশাপাশি অনলাইনেও টিকিট কেনা যাবে। এছাড়া স্বাভাবিক ট্রেনগুলোর পাশাপাশি ৬ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

ঈদের সম্ভব্য দিন ৩ মে ধরে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। সেই হিসেবে ২৭ এপ্রিলের টিকিট ২৩; ২৮ এপ্রিলের টিকিট ২৪; ২৯ এপ্রিলের টিকিট ২৫; ৩০ এপ্রিলের টিকিট ২৬ এপ্রিলও ১ মের টিকিট ২৭ এপ্রিল বিক্রি করা হবে।

ঈদের বিশেষ ট্রেনগুলোর মধ্যে চাঁদপুর স্পেশাল ১ ও ২ ট্রেন চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রোডে ঈদের আগে ২৯ এপ্রিল থেকে ১ মে এবং ঈদের পর ৪ থেকে ৮ মে পর্যন্ত চলবে। আর দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল ট্রেন ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রোডে ২৯ এপ্রিল থেকে ১ মে ও ঈদের পর ৪ থেকে ৮ মে পর্যন্ত চলবে। খুলনা স্পেশাল (মৈত্রী রেক দিয়ে) খুলনা-ঢাকা-খুলনা রোডে ২৯ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত চলবে। সোলাকিয়া স্পেশাল-১ ট্রেন ভৈরব বাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব বাজার রোডে ও শোলাকিয়া স্পেশাল-২ ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রোডে শুধুমাত্র ঈদের দিন চলবে।

‘টিকেট যার ভ্রমণ তার’ শ্লোগান বাস্তবায়নে টিকেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে যাত্রীদের এনআইডি বা জন্ম সনদ ফটোকপি কাউন্টারে দেখিয়ে টিকেট ক্রয় করতে হবে। ইন্টারনেটে ই-টিকেটিং এর মাধ্যমে ঈদ অগ্রিম টিকেট বিক্রি সকাল ৮টা থেকে।

কাউন্টারে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একনাগাড়ে ঈদ অগ্রিম টিকেট বিক্রয় চলবে। প্রতিটি টিকেট বিক্রয় কেন্দ্রে একটি করে মহিলা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কাউন্টার থাকবে।

প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনে শুধুমাত্র মহিলা ও প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য একটি করে স্বতন্ত্র কোচ সংযোজন করা হবে। একজন যাত্রী একসাথে সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট ক্রয় করতে পারবে; ঈদের অগ্রিম বিক্রিত টিকিট ফেরৎ নেয়া হবে না।

স্পেশাল ট্রেনের কোন টিকেট অনলাইনে পাওয়া যাবে না। শুধুমাত্র স্টেশন কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হবে।

ঢাকা (কমলাপুর) স্টেশনে যাত্রীর চাপ কমানোর লক্ষ্যে ঢাকা শহরের ৫টি কেন্দ্র থেকে টিকেট বিক্রয় করা হবে। স্টেশনগুলো হলো- ঢাকা (কমলাপুর) থেকে সমগ্র পশ্চিমাঞ্চলগামী ও খুলনাগামী স্পেশাল ট্রেন, ঢাকা বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সকল আন্তঃনগর ট্রেন, তেজগাঁও স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ, জামালপুরগামী ও দেওয়ানগঞ্জ স্পেশালসহ সকল আন্তঃনগর ট্রেন, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে মোহনগঞ্জগামী মোহনগঞ্জ ও হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেন এবং ফুলবাড়িয়া (পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন) থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সকল আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট বিক্রি করা হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন