আর্কাইভ থেকে এশিয়া

গাজার অর্ধেক মানুষই মারাত্মক অনাহারে রয়েছে : জাতিসংঘ

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার যুদ্ধকবলিত মানুষের অর্ধেকেই মারাত্মক অনাহারে রয়েছেন। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির উপ নির্বাহী পরিচালক কার্ল স্কাউ স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।

তিনি বলেন, অত্যন্ত নির্মম বাস্তবতা হচ্ছে গাজার প্রতি দশ জন মানুষের ভেতরে ৯ জন যথেষ্ট পরিমাণে খাবার পাচ্ছেন না। চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে আমি গাজা সফর করেছি। সেখানে এ অবস্থা দেখে এসেছি।

স্কাউ জানান, গাজায় যে সাত দিন যুদ্ধবিরতি ছিল তখন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি সেখানে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করতে সক্ষম হয়েছে কিন্তু যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সেটা আর করা সম্ভব হয়নি।

গাজার এই মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির শীর্ষ পর্যায়ের এ কর্মকর্তা যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতি হলে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি আবার গাজা উপত্যকায় খাদ্যদ্রব্য বিতরণ শুরু করতে পারবে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল জানিয়েছে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের গণহত্যায় এ পর্যন্ত ১৮ হাজার ৭৮৭ জন শহীদ এবং ৫১ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।

এদিকে, বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মানবিক সংকট এতটাই প্রকট আকার ধারণ করেছে যে, গাজার লোকেরা রুটির জন্য ভিক্ষা করছেন। এমনকি পরিবারের সদস্যদের ক্ষুধা মেটাতে বাধ্য হয়ে গাধার মাংস খাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত।

এই সংকটের মূল কারণ, ইসরায়েলের বোমা হামলায় বেশিরভাগ অঞ্চলেই পৌঁছাতে পারছে না ত্রাণসামগ্রী বহনকারী ট্রাক। হামাসকে ধ্বংসের কথা বলে পুরো গাজা উপত্যকাকেই যেন ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে খাবারসহ মৌলিক চাহিদা পৌঁছানো যেন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন