জীবিকার টানে ঢাকায় ফিরছে মানুষ
শুক্রবার (০৬ মে) সকাল থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে কর্মস্থলে ফেরা যানবাহন ও যাত্রীচাপ বেড়েছে। দুর্ভোগ খুবব একটা না থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথেই যানবাহনের সারি বাড়তে থাকে।
দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া মডেল স্কুল পর্যন্ত দুই কিলোমিটার যাত্রীবাহী বাসের সারি দেখা যায়। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের এ সাড়ি বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় দেখা যায়, দৌলতদিয়া প্রান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা খুলনা মহাসড়কে ফেরি পারের অপেক্ষায় কোনো যান বাহন ছিলো না।
ফেরি পেতে এসব যানবাহনের কোনও অপেক্ষা করতে হচ্ছিল না। স্বস্তিতে ফেরিতে উঠতে পেরে খুশি যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। তবে সময বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চিত্র পাল্টাতে থাকে। ফেরি পারের অপেক্ষায় যানবাহনের সারি সৃষ্টি হয়।
তবে অনেক যাত্রী তিন চাকার বিভিন্ন অবৈধ যানবাহনে ঘাটে আসছে। যাত্রীদের অভিযোগ এসব যানবাহনের চালকের যাত্রীদের কাছ থেকে ইচ্ছা মতো ভাড়া আদায় করছে। রাজবাড়ী পাংশা থেকে আসা রতন শেখ জানান, বাসে উঠতে না পেরে মাহেন্দ্রে এসেছি। একশ টাকা ভাড়া নিয়েছে ২৫০ টাকা। এরা সুযোগ বুঝে ভাড়া আদায় করছে।
কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ফেরিঘাট দিয়ে স্বস্তিতে যাত্রীরা পদ্মা পাড়ি দিতে পারছেন। তবে দেশের বিভিন্নস্থান থেকে ছেড়ে আসা বাসযাত্রীদের কিছু সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এছাড়া দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় এবার নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভালো ছিলো।
বিআইডাব্লিটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান জানান, সময় বাড়ার সঙ্গে ঘাটে যানবাহন ও যাত্রী চাপ বাড়ছে। ব্যাক্তিগত গাড়ির চাপ অনেক বেড়েছে। তবে এখনও মানুষ স্বস্তিতে পার হচ্ছে। বর্তমানে ২০টি ফেরি চলছে।
হাসিব মোহাম্মদ