জাতীয়

বিদায় ২০২৩, স্বাগত ২০২৪ সাল

সময়ের বৃক্ষ থেকে আরও একটি পত্র ঝরে যাবে এক দিনের মধ্যেই, যবনিকাপাত হবে ২০২৩ সালের। ঘড়ির কাঁটা থেমে নেই, ঘুরছে তার নিয়মে। যার প্রতিটি সেকেন্ডের সঙ্গে মিশে আছে মানবসভ্যতার নানা ঘটনা, নানা ইতিহাস। সেসব ঘটনায় মানুষ স্মৃতিকাতর হয়; আবেগে আপ্লুত কিংবা আনন্দে উদ্বেলিত হয়। এভাবে মানুষ এক সময় পুরাতনকে বিদায় দিয়ে নতুনকে বরণ করে। পুরনো দিনের ভুল শুধরে নতুনকে আলিঙ্গন করে নব প্রত্যয়ে, নব আশায়। কালের গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে আরেকটি বছর।

রাত পোহালেই দিগন্ত উঁকি দেবে নতুন আলো। শুরু হবে নতুন খ্রিস্টীয় বছর, ২০২৪। যাত্রা শুরু করবে ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিন। আলোয় আলোকিত হবে পৃথিবী। তার আগেই বিগত বছরের দুঃখ-বেদনা ভুলে মধ্যরাতে বিশ্বজুড়ে এবারও কোটি কোটি মানুষ নতুন বছরকে স্বাগত জানাবে।

ক্যালেন্ডারের পাতায় ২০২৩ হচ্ছে অনেক ঘটনাবহুল। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে নানা ঘটনার সাক্ষী ২০২৩। বিশেষ করে বাংলাদেশে ২০২৩ ছিল নানা অনিশ্চয়তার মধ্যে। রাজনৈতিক উত্তাপ, অর্থনৈতিক মন্দা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি- সব মিলিয়ে ঘটনাবহুল ছিল ২০২৩ সাল।

অন্যদিকে, বছরটিতে আন্তর্জাতিক ঘটনাসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ। হামাসের এক অপারেশনকে কেন্দ্র করে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বর হামলা চালানো শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। যা এখনো চলমান। এ যুদ্ধে এখনো পর্যন্ত শিশুসহ ২১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হন।

বাংলাদেশসহ গোটা দুনিয়া গেলো বছরটি পার করেছে ব্যাপক চড়াই উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে। ভীষণ কঠিন এক সময়ের সামনে দাঁড় করিয়েছে বিশ্বকে। তাই সবার একটাই প্রার্থনা নতুন বছরে স্বস্তি ফিরবে জনজীবনে।

নতুন বছরের প্রত্যাশা থাকবে সারাবিশ্বের সার্বিক উন্নতি। মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ও অগ্রগতি। নতুন বছরে বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রতিটি মানুষের একটি মাত্রই চাওয়া- ‘বিশ্ব হোক প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মুক্ত, বন্ধ হোক যুদ্ধ, প্রাণঘাতী, হানাহানি।

যুদ্ধ নয় শান্তি চাই, ভয়হীন প্রাণভরে নিশ্বাস নিক বিশ্বের প্রতিটি মানুষ। ’ তাই বিদায় ২০২৩, স্বাগত ২০২৪ সাল।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন