দেশজুড়ে

নোয়াখালী-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে ‘ট্রাস্ট’ নামে ইন্স্যুরেন্স খুলে প্রতারণার অভিযোগ  

ট্রাস্ট নাম ব্যবহার করে অন্য প্রতিষ্ঠানকে সেনাবাহিনীর পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালী-২ আসনে কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের যৌথ মূলধনী প্রতিষ্ঠান ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের অভিযোগে বলা হয়, পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেড মার্ক অধিদপ্তর থেকে  অনুমতি না পেলেও  সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠান বলে পরিচয় দিয়ে প্রতারিত করে ফায়দা তোলার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।

‘ট্রাস্ট’ বা ‘আস্থা’ শব্দটি সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর নামের অংশ। যা গ্রাহকের ভরসা-বিশ্বাস আর আস্থার সাথে মিশে আছে। সেই ‘ট্রাস্ট’ শব্দটি ব্যবহার করে ‘ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী গড়ে তোলেন নোয়াখালী-২ আসনে কাঁচি মার্কার স্বতন্ত্রপ্রার্থী মোহাম্মদ আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকসহ কয়েকজন। প্রতিষ্ঠানের প্রোফাইলে তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখানো হয়।

‘ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সসহ যেসব প্রতিষ্ঠান ট্রাস্ট বা আস্থা শব্দ ব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ‘ইন্স্যুরেন্স ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেটরি অথরিটির কাছে অভিযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট। অভিযোগে প্রতারণার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। অভিযোগে বলা হয়, আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এর প্রতিষ্ঠান ‘আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স’ ২০১১ সাল থেকে বীমা প্রতিষ্ঠান হিসেবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। কিন্তু অসাধু চক্র প্রতিষ্ঠানটির নামের অংশ ‘ট্রাস্ট’ বা আস্থা শব্দটি তাদের প্রতিষ্ঠানের নামের অংশ বিশেষ হিসেবে ব্যবহার করছে। নিজেদের সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান পরিচয় দিয়ে আর্থিক লেন-দেনসহ নানাভাবে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে।

‘ইন্স্যুরেন্স ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেটরি অথরিটির চেয়ারম্যান জয়নাল বারী ক্যামেরায় কথা বলেনি। তবে অথিরিটি আর্মি ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট ও অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে এ বিষয়ে তাদের অবস্থান জানিয়েছে।

‘ট্রাস্ট’ বা ‘আস্থা’ শব্দ ব্যবহারের বিষয়ে ‘আর্মি ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট’ অভিযোগ দিলেও অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রধান নির্বাহী গিয়াস উদ্দিন নিজেদের মতো করে ব্যাখা দেন।

মহাপরিচালক পেটেন্ড, ডিজাইন ও ট্রেড মার্ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান বলেন, আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টকে ‘ট্রাস্ট’ শব্দকে বাংলা ও ইংরেজিতে ইস্যু করা হয়েছে। এ শব্ধটি তাই ব্যবহার করবে। ‘ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স’ আবেদন করলে তাদেরকে ট্রেড মার্ক দেয়া হয়নি। সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ‘ট্রাস্ট’ শব্দ থাকায় পেটেন্ড, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিপ্তর থেকে ‘ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স’ অনুমতি পায়নি। তারপরও ঐ নামে কার্যক্রম পরিচালনা করায় আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন, পেটেন্ড অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন