আইন-বিচার

রিমান্ড শেষে বিএনপি নেতা নবী কারাগারে

যাত্রাবাড়ী থানার বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) তিনদিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী আসামির জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গত শনিবার (৬ জানুয়ারি) নবীকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর যাত্রাবাড়ী থানার মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন ডিবি পুলিশের এসআই আশরাফুল আলম। অন্যদিকে নবীর আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।

ওইদিন উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তিনদিনের রিমান্ড দেন।

ওই রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছিল, মামলার এজহারনামীয় আসামি নবী উল্লাহ নবী ৫ নভেম্বর যাত্রাবাড়ী থানাধীন যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে ধোলাইপাড়গামী রাস্তার সড়কে বিজিবি মার্কেটের সামনে পাকা রাস্তার উপর বেআইনিভাবে দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্র-শন্ত্র, ইট পাটকেল, বাঁশের লাঠি ও ককটেলসহ অবস্থান নেন। তারা সরকারবিরোধী উসকানিমূলক ও অবমাননাকর স্লোগান দিতে থাকেন। সড়কে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে চরম জনভোগান্তি তৈরি হয়।

নবীসহ অন্য আসামিরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশে এবং সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থলে রাস্তার পাশে পার্কিং করা গ্রেট তুরাগ ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির দুটি বাসে অগ্নিসংযোগসহ ককটেল বিস্ফোরণ করে সড়কে দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাঁধায়। অগ্নিসংযোগে দুটি বাসের পাঁচ লাখ ৮০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।

সেখানে আরও বলা হয়, আসামি নবী উল্লাহ নবীর নির্দেশ ও হুকুমে পলাতক নেতাকর্মীরাসহ অজ্ঞাতপরিচয় বিএনপির দুষ্কৃতকারীরা নাম না জানা অনেকের প্ররোচনা, নির্দেশনা, যোগসাজস এবং সহযোগিতায় বেআইনিভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে যান চলাচল বন্ধ করে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের কাজে বাধাসহ পুলিশকে আক্রমণ এবং ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযানকালীন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামি নবী উল্লাহ নবী গোপীবাগ এলাকায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী, অর্থদাতা ও ইন্ধনদাতা।

উল্লেখ্য, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরপরই শুক্রবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নবী উল্লাহ নবীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন