যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য নির্বাচনের প্রশংসা করেছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ভালো বলেছে, নির্বাচনের প্রশংসা করেছে। তারা বলেছে আমাদের সঙ্গে যে সম্পর্ক আছে, সেটা বলবৎ রাখবে। তবে তারা মানবাধিকারের যে বিষয়টির কথা বলেছে, সেটা ডায়নামিক ইস্যু। এগুলোর কোনো শেষ নেই। আমরা এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছি। বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দেশি-বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সবার সঙ্গে বাংলাদেশের যে অংশীদারিত্ব রয়েছে এটা নতুন সরকারের সঙ্গেও অব্যাহত থাকবে বলে আমি মনে করি। নতুন সরকারকে সবাই গ্রহণ করবে এবং সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য দাবি করছে, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি। বিবৃতিতে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে একমত যে, এ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। তবে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
ব্রিফিং শেষে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, চ্যালেঞ্জ সত্যেও বাংলাদেশ সরকার নির্বাচন করতে পেরেছে বলে আমরা অভিনন্দন জানাই। এটা গণতন্ত্র ও জনগণের বিজয়। চীন বাংলাদেশের বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে পাশে থাকবে।
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, এখনই নির্বাচন নিয়ে তারা কোনো মন্তব্য করতে চান না। এ বিষয়ে সপ্তাহখানেকের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে একটি বিবৃতি ইস্যু করা হবে।
প্রসঙ্গত, ব্রিফিংয়ে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত প্রায় ৫০ দেশের রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনার উপস্থিত ছিলেন।