আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

অ্যান্টিবায়োটিকে করোনার চেয়ে বেশি মানুষ মারা যাবে : বিএসএমএমইউ উপাচার্য

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের ফলে আমরা যে অবস্থায় রয়েছি, তাতে দেশে ২০৫০ সালের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে করোনাভাইরাসের চেয়ে বেশি মানুষ মারা যাবে। আমাদের অনেকে যখন তখন স্টেরয়েড কিনে খাই। স্টেরয়েড খেয়ে মোটাতাজা হই। কিন্তু তার ভবিষ্যৎ খারাপ। বললেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

আজ রোববার (২২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লকের মিলনায়তনে ‘মাত্রাতিরিক্ত প্রোটন-পাম্প ইনহিবিটর সেবন : উদ্বেগ ও পর্যালোচনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, প্রোটন-পাম্প ইনহিবিটর (পিপিআই) বা গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ মাত্রাতিরিক্ত গ্রহণের ফলে ৪৫ শতাংশ গ্যাস্ট্রিক-আলসার হয়।

তিনি বলেন, ওষুধ খাওয়া হলো আরেকটি রোগ তৈরি করা। একটি রোগের জন্য ওষুধ খেলে আরেকটি রোগের সৃষ্টি হতে পারে।

এই অবস্থায় যত্রতত্র গ্যাস্ট্রিক ওষুধ ব্যবহার রোধে নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন বিএসএমএমইউ ভিসি।

ডা. মো. শারফুদ্দিন বলেন, যত্রতত্র গ্যাস্ট্রিক ওষুধ ব্যবহারে মাইক্রোনি-উক্রিয়েন্টের (আয়োডিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি) অভাব হচ্ছে। তবে এসব রোগের ভয়ে হঠাৎ করে পিপিআই বন্ধ করা যাবে না। পিপিআই গ্রহণ ধীরে ধীরে দুই সপ্তাহ থেকে এক সপ্তাহ এবং পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনতে হবে।

তিনি বলেন, প্রোটন-পাম্প ইনহিবিটর হচ্ছে এমন ধরনের ওষুধ, যার প্রধান কাজ হলো পাকস্থলীর প্যারাইটাল কোষ থেকে এসিড নিঃসরণ কমানো। কিন্তু আমরা যদি ডিসিপ্লিনভাবে চলাফেরা করি তাতেও এসিডিটি হবে না। এসিডিটি না হলে ওষুধ খাওয়া লাগবে না বলেও তিনি বলেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. রাজীবুল আলম।

তিনি বলেন, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের বড় অংশ ওষুধ বিক্রি হচ্ছে ব্যবস্থাপনাপত্র ছাড়া। রোগীর একটু পাতলা পায়খানা, মাথাব্যথা, পিঠে ব্যথাসহ নানা জটিলতা দেখা দিলে ফার্মেসির দোকানিরা গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ দিচ্ছেন। এই ক্ষেত্রে একটু পানি পান করালে বা হালকা কিছু ওষুধ ব্যবহার করলে এই সমস্যা সমাধান করা যেত।

রাজীবুল আলম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবনের কারণে গ্যাস্ট্রিক, ক্যান্সার, স্মৃতিভ্রমের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। এমনকি ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম কমে আসতে পারে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন