লোহার কড়াইয়ে রাঁধতে মানতে হবে যে নিয়ম
অনেকের ধারণা লোহার বাসন বা কড়াইয়ে রান্না করা ভাল, এতে শরীরে আয়রনের চাহিদা মেটে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, শিশুদের খাবার লোহার পাত্রে রান্না করলে, তাদের রক্তে আয়রনের চাহিদা কিছুটা মেটে। এমনকি, বড়দের ক্ষেত্রেও আয়রনের চাহিদা কিছুটা পূরণ করতে পারে এই ধরনের বাসনের ব্যবহার। কম তেলে রান্না করতেও লোহার কড়াই বেশ ভাল কাজে আসে। কিন্তু নিয়ম মেনে সেই রান্না না করলে, লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি।
চলুন জেনে নেই বাড়িতে লোহার কড়াইয়ে রান্না করতে হলে কোন কোন নিয়ম ভুললে চলবে না-
টক জাতীয় কোনও পদ লোহার পাত্রে রান্না করবেন না। টোম্যাটোর চাটনি হোক কিংবা জলপাই’র আচার— কোনও খাবারই রান্না করা যাবে না এতে। এই ধরনের জিনিস রান্না করলে লোহা সেই অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করবে। বিক্রিয়াজাত পদার্থগুলি খাবারে মিশবে। যা শরীরের জন্য মোটেই ভাল নয়।
লোহার পাত্রে সব্জি রান্না করার সময়ে নজর রাখতে হবে, যেন সেটি পুড়ে কালো না হয়ে যায়। লোহায় খাবার দ্রুত পুড়ে যেতে পারে। এই পুড়ে কালো হয়ে যাওয়াটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
লোহার তাওয়ায় অনেকেই দোসা বা চাপড়ি বানান। ভাল করে তেল মাখিয়ে পাত্রটি গরম না করে নিলে কিন্তু দোসা পাত্রের গায়ে লেগে যাবে।
লোহার পাত্র সাফ করার পরে শুকনো কাপড় দিয়ে ভাল করে মুছে নেয়া উচিত। না হলে তাতে জং ধরতে পারে।
ডিম, পাস্তা, চাউমিন— যে সব খাবার পাত্রের গায়ে লেগে যায়, লোহার কড়াইয়ে সেসব রান্না না করাই ভাল। এ ক্ষেত্রে ননস্টিক পাত্রই ভাল।