বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় মিয়ানমারকে কঠোর প্রতিবাদ বিজিবির
মর্টার শেলের আঘাতে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে দুজন সাধারণ মানুষ নিহত হন,যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা তৎক্ষণাৎ মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের কাছে কঠোর প্রতিবাদ জানাই। বললেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোরশেদ আলম।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী কাস্টমস চেকপোস্ট এলাকায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়কে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোরশেদ আলম বলেন, কয়েক দিন আগে উখিয়ার পালংখালী সীমান্তের অভ্যন্তরে কয়েকটি মর্টার শেল এসে পড়ে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তারপরও বিজিবি বিষয়টি নিয়ে মিয়ানমার বিজিপির কাছে প্রতিবাদলিপি পাঠায়। একই সঙ্গে সীমান্তে বিজিবির সতর্কাবস্থার সঙ্গে জনবলও বাড়িয়েছে।
বিজিপি সদস্যদের আশ্রয় নেয়ার বিষয়ে এ বিজিবি কর্মকর্তা বলেন, গতকাল রোববার সকালে হঠাৎ করে বিজিপি সদস্যরা সংঘর্ষের কারণে প্রাণ রক্ষায় বাংলাদেশে পালিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেন। এর প্রেক্ষিতে বিষয়টি বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনামতে বিজিপি সদস্যদের অনুপ্রবেশের সুযোগ দেয়া হয় এবং তাঁদের অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি হেফাজতে আনা হয়েছে।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সীমান্ত এখন পর্যন্ত বন্ধ আছে। কোনো রোহিঙ্গা, কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে,সে জন্য বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে।
বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে এ অধিনায়ক বলেন, আহত বিজিপি সদস্যদের বাংলাদেশ চিকিৎসা দিচ্ছে। বিজিবি তাঁদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। তাঁদের দেখাশোনার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পর বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, চলমান পরিস্থিতি বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছে বিজিবি।