ঘরে বসেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দেয়া যাবে ফুল
সশরীরে আর যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। এখন থেকে ঝামেলা ছাড়াই ঘরে বসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা যাবে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে মোবাইলের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ‘অমর একুশে’র উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির(ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাপটির উদ্বোধন করেন স্মার্ট নারী স্মার্ট বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীনা রহমান ও কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক।
এ অ্যাপ-এর মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষসহ বিদেশে অবস্থানরত বাংলা ভাষাভাষী ও শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে আগ্রহী দেশি-বিদেশি ব্যক্তিরা স্ব-স্ব অবস্থানে থেকে অমর একুশের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নিজস্ব অর্থায়নে স্মার্ট বাংলাদেশের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ডিজিটাল সেবা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে মোবাইলের মাধ্যমে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ‘অমর একুশে’ ডেভেলপ করা হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান মানিক তার বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়নের পরে স্মার্ট` বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় সক্রিয় অংশীজন হিসেবে আমাদের এই আয়োজন। মানুষের জন্য শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ ও সম্মান জানানো সহজ করার জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান শহিদ দিবস উপলক্ষ্যে মুঠোফোনের মাধ্যমে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ‘অমর একুশে’ ডেভেলপ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে ‘অমর একুশে’ অ্যাপটি তাকে উৎসর্গ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীনা রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, অমর একুশে’ অ্যাপটি ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর থেকে ডাউনলোড করা যাবে ও ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহর থেকে শুরু করে সারাদিন শ্রদ্ধা নিবেদন করা যাবে। অ্যাপটি প্লে-স্টোর ছাড়াও ওয়েবসাইটে দেওয়া লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করা যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. ইসমাইল, মো. জাহিদ সিদ্দিক রেজা উপস্থিত ছিলেন।