আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

নদীর ওপর ঝূঁকিপূর্ণ ব্রিজে বড় বড় গর্ত চলাচলে জনদূর্ভোগ

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার গোরকমন্ডল এলাকার বারোমাসিয়ে নদীর উপর নির্মিত ব্রিজের মাছখানে ধসে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ব্রিজের পশ্চিম অংশের মোকার কিছু অংশ ধসে পড়েছে। এতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ ঐ ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে চলাচল করছে। এতে যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা করছে স্থানীয়।  সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকের নজরে আসলেও দীর্ঘ চার-পাঁচ বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি পূর্ণ-নির্মান না করায় চরম ক্ষোভ জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়রা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার বালারহাট থেকে ঔ ব্রিজ হয়ে গোরকমন্ডল এলাকার বিডিআর বাজার, গোরকমন্ডল বিজিবি ক্যাম্প, গোরক মন্ডল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চর-গোরকমন্ডল  এলাকার আনন্দ বাজার,চর-গোরকমন্ডল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন। এছাড়াও প্রতিদিন রিকশা, অটোবাইক, মোটরসাইকেল, পিকআপ ভ্যান,সাইকেল, সিএনজিচালিত স্কুটার, ট্রাকক্টরসহ ছোট-বড় যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে।

গোরকমন্ডল  এলাকার ট্রাক্টর চালক নুরজামাল জানান, ব্রিজটিতে বড় বড় ৬ টি গর্ত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ মেরামত না করায় আমরা কয়েকজন চালক মিলে বড় বড় গর্ত মেরামত করেছি। আবার বড় বড় দুইটি গর্ত হয়েছে। আমরা জীবনের ঝুঁনি নিয়ে চলাচল করছি। তিনি দ্রæত একটি নতুন  ব্রিজের দাবী জানিয়েছেন। 

চর-গোরকমন্ডল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বাবলা বলেন, ব্রিজটির অবস্থা খুবেই করণ। আমরা ভয় ভয় করে চলাচল করি। এখানে জরুরী বিত্তিতে একটি নতুন ব্রিজের দাবী জানান তিনি।

গোরক মন্ডল ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শ্যামল চন্দ্র মন্ডল বলেন, ব্রিজটি প্রায় ৩০ বছর আগে নির্মান করেছে। বর্তমানে ব্রিজের অবস্থা খুবই খারাপ। তারপরেও জীবনের ঝুঁনি দিয়ে চলাচল করছি। তিনি আরও জানান ব্রিজটি মেরামত করলে টিকসই হবে না, নতুন করে একটা ব্রিজ চাই।

নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: হাসেন আলী জানান, গোরকমন্ডল এলাকায় বারোমাসিয়া নদীর ওপর ব্রিজটির অবস্থা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তারপরেও প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ঝুঁনি নিয়ে চলাচল করছে। কিন্তু যে মুহুতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা আশংকাও রয়েছে। তিনি ঝুঁনিপূর্ণ ব্রিজটির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আসিফ ইকবাল রাজীব জানান, ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়টি আমাদের নজরে আছে এবং সেখানে নতুন করে ব্রিজ নির্মানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।  

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন