ভাত খেয়েও ঝরবে তলপেটের মেদ
শরীরের বাড়তি মেদ নিয়ে অনেকেই নাজেহাল। ওজন কমানোর জন্য জিম থেকে ডায়েট করেও ফল পাচ্ছেন না। তবে এবার আর ওজন কমানোর জন্য বেশি কিছু করতে হবে না। বরং রোজ ভাত খেয়েও ওজন থাকবে আপনার নিয়ন্ত্রণে।
ভাত খেলেই কমবে ওজন, গলবে মেদ। এটা শুনেই অনেকে চমকে যাচ্ছেন। কিন্তু ভাতের সঙ্গে সুস্বাদু তরকারি, মাছ, মাংস খেলে হবে না। বরং ভাতের সঙ্গে সুপারফুড দই খেলেই তরতরিয়ে কমবে ওজন।
ভাতের সঙ্গে দই মিশিয়ে খেলে ওজন শুধু কমবে না বরং হাড়ও মজবুত হবে।
ভারতের লখনৌর রিমস হাসপাতালের ডায়েটিশিয়ান শীতল গিরি জানিয়েছেন দই এবং ভাত খাওয়ার কিছু উপকারিতা।
তিনি বলেন, যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য দই এবং ভাত একটি চমৎকার বিকল্প। তবে এর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অনুশীলনও করতে হবে। তাহলেই হাতেনাতে ফল পাবেন।
হজমের সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের জন্যও দই এবং ভাত একটি দুর্দান্ত বিকল্প। দইতে উপস্থিত প্রোবায়োটিক হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং অন্ত্রে উপস্থিত ভাল ব্যাকটেরিয়ার গঠনকে উন্নত করে। এছাড়া দই ও ভাত খেলে পিরিয়ডের আগে ক্র্যাম্প এবং পেটের ব্যথারও উপশম হয়।
দইয়ে উপস্থিত প্রোবায়োটিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীরকে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম করে। আপনার খাদ্যতালিকায় ভাত এবং দই যত বেশি রাখবেন, ততটাই শারীরিক দিক থেকেও ভাল থাকবেন।
ডায়েটিশিয়ানের মতে, দই হল স্ট্রেস-বাস্টার। যা খেলে মেজাজ উন্নত করে। গবেষণা অনুসারে, দইয়ের মধ্যে থাকা প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া এবং ভাল ফ্যাট মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
দই-ভাত শরীরের তাপমাত্রা কমাতে খুবই কার্যকরী। যেকোনও গরম খাবার খাওয়ার পর এটি খাওয়া ভীষণ ভাল। এটি পেটকে ভিতর থেকে ঠান্ডা রাখে। এর পাশাপাশি দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন থাকে।
দইয়ের মধ্যে ভাল পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়, যা আপনার হাড় ও দাঁতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওজন কমানোর পাশাপাশি দই ভাত খেলে হাড় ও দাঁত মজবুত ও স্বাস্থ্যকর হতে পারে।