আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

গাইবান্ধায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে।  তিস্তা ও ব্রহ্মপূত্র নদের পানি দিন দিন অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকায় পানি আরও বেড়েছে। 

তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে শত শত পরিবার  গৃহহীন ও ভূমিহীন হয়ে এলাকা ছেড়েছেন। ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে নদীপাড়ের মানুষের বসতভিটাসহ ফসলি জমি। ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।

জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার পানি বর্তমানে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে উপজেলার হরিপুর, শ্রীপুর চন্ডিপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র হয়েছে নদী ভাঙ্গন। উজানের ঢলে নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ায় কমপক্ষে ১৫০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি এসব পরিবার আশ্রয় কেন্দ্র ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। 
কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনজু মিয়া জানান, তার ইউনিয়নের কমপক্ষে ১ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি ৫০টি পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। অনেক পরিবার ইতোমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে। 

তিনি আরও বলেন, ভাঙন ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকা ছাড়া চরাঞ্চলে চলাচল দূরহ ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।

উল্লেখ্য, গেলো শনিবার (১৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা-ব্রহ্মপূত্রের পানি বিপদসীমার ১৯.৯৭ সেন্টিমিটার, তিস্তা ২৮.৯০ সেন্টিমিটার, ঘাঘট ২১.৭০ সেন্টিমিটার, করতোয়া ১৮.৬১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন