আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

১ লাখ ৬ হাজার ৬৮৮ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে নেত্রকোনায়

নেত্রকোনার মদন ও খালিয়াজুরিতে পানি আরও বাড়ছে। আর অন্য উপজেলাগুলোতে পানি অপরিবর্তিত আছে। ৩২৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে কমপক্ষে এক লাখ ৬ হাজার ৬৮৮ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে ৪৪ হাজার ২২০ নারী, ১৬ হাজার ৬৬  শিশু ও ৭৬৩ প্রতিবন্ধী রয়েছেন।

সোমবার (২০ জুন) পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহনলাল সৈকত এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গেলো ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ভারি বৃষ্টি না হওয়ায় কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও বারহাট্টায় বন্যার পানি কমতে শুরু করছে। দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে পানি এখন বিপদসীমার ৫৮৭ সেন্টিমিটার নিচে আছে। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ৮৯ মিটার। তবে কলমাকান্দার উব্দাখালী নদীর পানি কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপদসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। খারিয়াজুরির ধনু নদের পানিও বিপদসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে ভারি বৃষ্টিপাত না হলে বন্যার পরিস্থিতি আরও উন্নতির দিকে যাবে।

কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাসেম জানান, গেলো শনিবার রাত থেকে কলমাকান্দায় পানি কমছে। উপজেলায় প্রায় ৯২ শতাংশ এলাকা নিমজ্জিত ছিল। তবে এখনও প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা পানি নিচে আছে। 

দুর্গাপুরের ইউএনও রাজীব উল আহসান জানান, দুর্গাপুরে বন্যার পরিস্থিতি বেশ উন্নতির দিকে যাচ্ছে। পৌর শহরের এখন পানি নেই। তবে গাঁকান্দিয়া, চণ্ডিগড়, বিরিশিরিসহ কয়েকটি ইউনিয়নে পানি ধীরগতিতে নামছে। পানি কমলেও দুর্ভোগ এখনো কমেনি। 

তিনি আরও জানান, দুটি উপজেলায় ৪৮ আশ্রয়কেন্দ্রে এখনও আট হাজার মানুষ আশ্রিত আছেন।

মদনের ইউএনও বুলবুল আহমেদ জানান, মদনে পানি বৃদ্ধি পেয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গোবিন্দ্রশ্রী, তিয়শ্রী, ফতেপুরসহ বেশ কিছু ইউনিয়ন প্রায় ৯৫ শতাংশ এলাকা পানির নিচে। 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন