কিশোরগঞ্জে বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা
কিশোরগঞ্জে হাওরাঞ্চলের প্রধান নদী ঘোড়াউত্রা ও কালনী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। প্লাবিত এলাকার সংখ্যা সময়ের সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় ১ ফুটের মতো পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে।
এ দিকে বন্যা কবলিত মানুষের জন্য প্রাথমিকভাবে ১৪০ মেট্রিক টন চাল, দুই হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট ও আড়াই লাখ টাকার জিআর চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
জানা গেছে, জেলার ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, করিমগঞ্জ, তাড়াইল, নিকলী, বাজিতপুর ও ভৈরবের নিচু এলাকা বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। এসব উপজেলার লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এলাকার রাস্তা-ঘাট, বসতবাড়ি, বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে। বানের পানিতে ভেসে গেছে হাজার হাজার মাছের ফিসারি। প্রশাসনের উদ্যোগে খোলা তিন শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র ইতোমধ্যেই আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ১০ হাজার বানভাসি মানুষ।
কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১১৮৪টি বানভাসি পরিবারের মাঝে তিনি এ ত্রাণ বিতরণ করেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কিশোরগঞ্জের নদ নদীগুলোর বিভিন্ন পয়েন্ট এভারেজে প্রায় এক ফুট পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি পয়েছে। এ পানি উজান থেকে দ্রুত হাওরে প্রবেশ করছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে কিশোরগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, তিনি ইতোমধ্যেই ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম ও করিমগঞ্জের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ওইসব এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন তিনি। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে প্রশাসন। এদিকে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন।
এসআই/