যে কারণে ক্রিকেটারদের দেওয়া হয় মেরুন জ্যাকেট
গেল ভারত বিশ্বকাপ থেকেই বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমে দেখা যায় মেরুন জ্যাকেট। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারানোর পর সে ম্যাচে সেরা খোলোয়াড় নির্বাচিত হন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাকে দিয়ে শুরু হয় এই মেরুন জ্যাকেটের যাত্রা।
তবে ম্যাচ সেরা হলে বা সর্বোচ্চ রান করলেই যে পাবেন মেরুন জ্যাকেট এমনটিও নয়। ম্যাচের মোড় পরিবর্তন করা কোন ছোট্ট পারফরম্যান্সের জন্যও ক্রিকেটাররা পেতে পারে এই জ্যাকেট। এমনকি হারা ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ কিছু করলেও মিলবে এই জ্যাকেট। এই জ্যাকেট পেলে সেই ক্রিকেটারের নাম, ম্যাচ আর পারফরম্যান্স জ্যাকেটে মার্কার দিয়ে লিখে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে জানানো হয়েছে কোথা থেকে এলো এই মেরুন জ্যাকেটের ধারণা। টাইগারদের দলের টিম ম্যানেজার নাফিস ইকবাল বলেন, 'এই মেরুন জ্যাকেটের কনসেপ্ট এসেছে একটা গান থেকে। যেখানে একজনকে দেখা যায় একটা মেরুন জ্যাকেট পরে পুরো ব্যান্ডটাকে উৎসাহিত করে। প্রথমে ব্যান্ডটা খুব নার্ভাস থাকে, তাদের ট্রায়াল চলে ঐ সময়। তখন হঠাৎ করে একজন এসে গানটা এত সুন্দর করে গায়, সবাইকে পুরো উত্তেজিত করে ফেলে। ঐ জিনিসটাই আমাদের এখানে এই কনসেপ্ট নিয়ে এসেছে।'
বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও বলেন, 'কিয়ারার (আমেরিকান পপ তারকা) ঐ গানের ভিডিও দেখে মনে হচ্ছিল, আমাদের দলটাও তো এমন, সবাই অনেক চিন্তাগ্রস্ত থাকে। সেই গানে একজন চেয়ারের উপর উঠে গান ধরে, তাতে সবাই উজ্জীবিত ও নির্ভার হয়ে গাইতে থাকে। মেরুন জ্যাকেট পরা ব্যক্তি রুমের আবহ বদলে দেয়। এই মানুষটার ছোট্ট কাজই পুরো পরিস্থিতি বদলে দেয়।’
প্রথমবার মেরুন জ্যাকেট লাভ করা মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, 'আমরা সবাই ভালো খেলি, কিন্তু টিমের মধ্যে একটা খেলোয়াড় থাকে যে কিনা টিমটাকে বুস্টআপ করে একটা জায়গায় নিয়ে যায়। হয়ত সে অনেক বেশি কন্ট্রিবিউট করে না, হয়ত ছোট একটা কন্ট্রিবিউট করে, এর জন্যই টিমটা বুস্টআপ হয় এবং জেতে। আর এই মেরুন জ্যাকেটটা সে রকম একজনই পেয়ে থাকেন। ভালোই লেগেছিল যখন এই মেরুন জ্যাকেটটা পেয়েছিলাম এবং ভবিষ্যতে আরও পাবো।'