রমজানের চাঁদ দেখলে যে দোয়া পড়বেন
শাবান মাস শেষে আমাদের সামনে চলে এসেছে রমজান মাস। রমজানের নতুন চাঁদ দেখলে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কল্যাণ ও বরকতের দোয়া পড়তেন।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শাবান মাসের ২৯ তারিখ সন্ধ্যায় রমজানের চাঁদের অনুসন্ধান করতেন। এমনকি সাহাবায়ে কেরামকে চাঁদ দেখতে বলতেন।
হাদিসে এসেছে তালহা বিন উবাইদুল্লাহ রা. বর্ণনা করেন যে, নবী কারিম সা. যখন নতুন চাঁদ দেখতেন তখন তিনি বলতেন,
اللَّهُمَّ أهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالأمْنِ وَالإيمانِ، وَالسَّلاَمَةِ وَالإسْلاَمِ، رَبِّي وَرَبُّكَ الله উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল-য়ুমনি ওয়াল ঈমান, ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলাম, রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।
অর্থ: হে আল্লাহ্! বরকত ও ঈমান দিয়ে এবং নিরাপত্তা ও ইসলাম দিয়ে আমাদের ওপর তাকে (চন্দ্রকে) উদিত করুন। আমার ও তোমার রব হচ্ছেন আল্লাহ। (তিরমিজি ৩৪৫১) তবে শুধু এই দোয়াটি রমজানের চাঁদ দেখার সঙ্গে নির্দিষ্ট নয়। বরং প্রত্যেক মাসের শুরুতে যখনই কোনও মুসলিম নতুন চাঁদ দেখবে তখনই বলবেন।
রসুলুল্লাহ সা. শাবান মাসের ২৯ তারিখ সন্ধ্যায় রমজানের চাঁদের অনুসন্ধান করতেন। এমনকি সাহাবিদের চাঁদ দেখতে বলতেন। রমজানের নতুন চাঁদ দেখলে প্রিয় নবী সা. কল্যাণ ও বরকতের দোয়া করতেন।
এ দোয়া ছাড়াও আরো কয়েকটি দোয়া বর্ণিত আছে বিভিন্ন হাদিসে। আরেকটি দোয়া হলো:-
উচ্চারণ: আল্লাহু আকবার, আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমানি ওয়াসসালামাতি ওয়াল ইসলামি ওয়াত্তাওফিকি লিমা তুহিব্বু ওয়া তারদা রাব্বুনা ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।
অর্থ: আল্লাহ মহান, হে আল্লাহ! এ নতুন চাঁদকে আমাদের নিরাপত্তা, ইমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদয় কর। আর তুমি যা ভালোবাস এবং যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও, সেটাই আমাদের তৌফিক দাও। আল্লাহ তোমাদের এবং আমাদের প্রতিপালক।’ (তিরমিজি, মিশকাত)