এশিয়া

ইমাম-পাদ্রী মিলে উদ্বোধন করলেন ইসলামি বিশ্বের ৫ম মসজিদ

অবশেষে খুলে দেওয়া হলো ইরাকের অন্যতম প্রাচীন আল মাসফি মসজিদের দরজা। রমজানকে সামনে রেখে ইরাকের নিনেভে প্রদেশের রাজধানী মসুলের এই মসজিদটি গত ৭ মার্চ সাধারণ জনগণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।  বন্ধ থাকার এক দশক পর ওইদিন মসজিদে নামাজ পড়েন মুসল্লিরা।  এর আগে, স্থানীয় আলেম ও খ্রিস্টান ধর্মযাজকসহ সরকারি কর্মকর্তারা সবাই মিলে মসজিদটির উদ্বোধন করেন।

পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন আল মাসফি মসজিদটি উমাইয়া মসজিদ নামেও পরিচিত।  ৬৩৮ সালে ইরাকের মসুল শহরটিতে ইসলামের বিজয় পতাকা ওড়ার খুব কম সময়ের মধ্যে এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। ঐতিহাসিক এই মসজিদটি মসুল শহরের প্রথম এবং ইসলামি বিশ্বের ৫ম প্রাচীণ মসজিদ।হিসেবে পরিচিত।

২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস মসুল শহর দখলের সময় মসজিদটি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।  এসময় তারা সংস্কারের নামে মসজিদটি কয়েক বছর বন্ধ করে রাখে।  ২০১৭ সালে আইএস জঙ্গিদের নির্মূলে ইরাকি সেনাবাহিনীর চালানো সামরিক অভিযানের সময় মসজিদটি আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

দেশটির পূরাকীর্তি ও ঐতিহ্য বিষয়ক কর্তৃপক্ষের প্রধান আলি ওবায়েদ বলেন, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট এই মসজিদটির যথেষ্ট ক্ষতিসাধন করে। তারা মসজিদের অনেক অংশ সরিয়ে ফেলে।  মসুল শহরের অনেকেরই আবেদন ছিল মসজিদটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হোক। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে সমর্থন লাভে সফল হয়েছি।  বিশেষ করে মসজিদটির পুনঃনির্মাণে ইরাকের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও আলিফ নামে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে প্রয়োজনীয় অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছে।

প্রাচীন এই ঐহিত্যবাহী মসজিদে এবারের রমজানে নামাজ ও তারাবিহ পড়তে পারবে বলে খুব খুশী মসুলের স্থানীয় জনগণ।  আবির আল গানিম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি অনুভূতি ব্যক্ত করে জানান, ‘মসজিদটি ফের চালু করা একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।  আশা করছি, এই মসজিদের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এলাকার পুনরুজ্জীবন ঘটেছে।’

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন