আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

টয়লেটে সন্তানের জন্ম দিলো ছাত্রী

ব্রিটেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর সন্ধ্যায়  হঠাৎ পেট ব্যথা শুরু হয়। প্রাকৃতিক কাজ সারবেন ভেবে টয়লেটে যান কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর জন্ম দেন ফুটফুটে এক সন্তান। নিজেকে বিশ্বাসও করতে পারছেন তিনি। কারণ তিনি যে গর্ভবতী, সেটাই তার জানা ছিল না।

গত ১১ জুন টয়লেটে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন জেস ডেভিস (২০) । আকস্মিক মাতৃত্বের স্বাদ উপভোগ করা এই তরুণী ছেলের নাম রেখেছেন ফ্রেডি ওলিভার ডেভিস। ওইদিন স্থানীয় সময় বিকেল পৌনে ৫টার দিকে জন্ম নেওয়া ফ্রেডি ওলিভারের ওজন প্রায় আড়াই কেজি। বর্তমানে মা ও ছেলে সুস্থ আছেন। একটি হাসপাতালে রয়েছেন তারা।

ইউনিভার্সিটি অব সাউদাম্পটনের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী নতুন এই মা বলেছেন, বেশিরভাগ সময়ই আমার পিরিয়ড অনিয়মিত ছিল। যে কারণে আমি বিষয়টি সত্যিই খেয়াল করতে পারিনি।

তিনি বলেন, আমি প্রায়ই বমি বমি ভাব অনুভব করতাম। আর এজন্য আমি নতুন প্রেসক্রিপশন নেওয়া শুরু করেছিলাম। নতুন ওষুধও সেবন করছিলাম। যখন সে জন্ম নিল তখন এটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অবাক হওয়ার মতো ঘটনা। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম, হয়তো স্বপ্ন দেখছি। তার কান্না শোনার আগে পর্যন্ত আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। 

জেস বলেন, ‘এটা হঠাৎ করেই আমাকে আঘাত করল যে, আমার এখন সত্যিই বেড়ে ওঠা দরকার। কিছুক্ষণের মধ্যে নিজেকে সামলে নিয়েছি। তার সাথে আমার বন্ধন তৈরি হয়েছে। এখন আমার মনে হয়, আমি চাঁদে বসবাস করছি।সে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শান্ত শিশু। হাসপাতালের ওয়ার্ডে সে একদম শান্ত শিশু হিসেবে পরিচিত।’

ওইদিন প্রচণ্ড পেট ব্যথা শুরু হয় জেসের। তখন তিনি ধরে নিয়েছিলেন যে, হয়তো পিরিয়ডের শুরু হতে যাচ্ছে। পরে গরম পানির বোতল কেনার জন্য স্থানীয় একটি দোকানে চলে যান তিনি। জেস বলেন, আমি ঠিকভাবে হাঁটতেও পারছিলাম না। বাসায় ফেরার পর বিছানায় শুতেও পারছিলাম না।

পর জরুরি নম্বরে ফোন করে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেন লিভ। কিন্তু প্রথমে লিভও এই ঘটনা বিশ্বাস করতে চাননি। তাকে সদ্যজাত শিশুর ছবি পাঠানোর পর অ্যাম্বুলেন্সের কাছে ফোন করেন। 

পরে সাউদাম্পটনের প্রিন্সেস অ্যানি হাসপাতালে নেওয়া হয় মা ও সদ্যজাত শিশুকে। সেখানে শিশু ফ্রেডিকে ইনকিউবেটরে রাখা হয়।

মাত্র ৩৫ সপ্তাহেই শিশুটি জন্ম নিয়েছে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা। নাটকীয় এই জন্মের পরও শিশু ও তার মা সুস্থ আছেন। জেসের এই ঘটনা তার মা কিং জানার পর ভেঙে পরেন। মেয়েকে টেলিফোন করে জানতে চান, তুমি কী সুস্থ আছো?

সৌভাগ্যবশত জেসের মা নতুন নাতিকে পেয়ে বেশ খুশিই হয়েছেন এবং মেয়ের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি নানি হতে পেরে আনন্দিত বলে জানিয়েছেন। জেস বলেছেন, আমার মা এই বিশ্বের সেরা মানুষ। তিনি অত্যন্ত সহায়তা করছেন।

 

এসআই/

 
 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন