পিনিক গ্যাংসহ পাঁচ কিশোর গ্যাং এর ২৫ সদস্য গ্রেপ্তার
রাজধানীর ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে পাঁচ কিশোর গ্যাংয়ের ২৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এর মধ্যে আক্তার গ্যাং,মাসুম গ্যাং,পিনিক গ্যাং,বাপ্পী গ্যাং ও লিমন গ্যাংয়ের সদস্য রয়েছে। গত ২৩ মার্চ তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব ২।
রোববার (২৪ মার্চ) র্যাব-২ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ও জ্যেষ্ঠ এএসপি শিহাব করিম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ, আদাবর, ঢাকা উদ্যান, বছিলা ও ধানমন্ডি এলাকায় চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাত। এ ছাড়া বিভিন্ন দোকানিকে জিম্মি করত এবং অস্ত্র ধরে পথচারীদের কাছ থেকে টাকা ও জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিতো।
শিহাব করিম জানান, এসব গ্যাং এর সদস্যরা মাদক সেবনসহ কারবারের সঙ্গে জড়িত। তারা দিনে গাড়িচালক ও সহকারী, দোকানের কর্মচারী, নির্মাণ শ্রমিক, পুরোনো মালপত্র ক্রেতা, সবজি বিক্রেতাসহ বিভিন্ন পেশার কাজ করত। রাতে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করত। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারির একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা হলো– আক্তার গ্রুপের নেতা মো. আক্তার ও তার সহযোগী মো. শাকিল, মো. রাসেল, মো. ফয়সাল ও মো. আশিক। মাসুম গ্রুপের নেতা ও দুই মামলার আসামি মো. মাসুম এবং তার সহযোগী মো. শাওন। পিনিক গ্রুপের নেতা মো. হাসান ও তার সহযোগী মেহেদী হাসান রবিন, আনোয়ার হোসেন ও ইমন ওরফে আরকত। বাপ্পী গ্রুপের নেতা মো. বাপ্পি ও তার সহযোগী আব্দুল জলিল ও মো. আশরাফুল। লিমন গ্রুপের নেতা মো. লিমন ও তার সহযোগী ফয়সাল ওরফে আলিম, রাকিব ওরফে আকরান, মো. সুমন, মো. ফিরোজ, সুজন মৃধা, মমিন ইসলাম, মো. নয়ন, মো. জুয়েল, সুমন মিয়া ও রাবেল মিয়া। তাদের বয়স ১৯ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে।
উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারকৃতদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।