বিছানার চাদর থেকেও হতে পারে ত্বকের সমস্যা
বাড়িঘর সাজিয়ে রাখতে কমবেশি সকলেই ভালবাসেন। তবে অন্দরসজ্জা যতই ভাল হোক না কেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর না দিলে সুন্দর সাজসজ্জার কোনও মূল্যই থাকে না। বাড়িতে থাকলে বেশির ভাগ সময়টাই কাটে শোয়ার ঘরে। টানটান করে চাদর পাতা পরিপাটি বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই দু’চোখে ঘুম জড়িয়ে আসে। তবে শুধু তো ব্যবহার করলে চলবে না, পরিষ্কারও রাখতে হবে। ক’দিন পর পর বিছানার চাদর পাল্টানো জরুরি- একটি চাদর সাধারণত সপ্তাহখানেকের বেশি ব্যবহার করা ঠিক নয়। এক সপ্তাহ অন্তর অন্তর চাদর কাচলে ভাল। অপরিষ্কার চাদরে ঘুমোলে ত্বকের নানা সমস্যাও দেখা দেয়। দীর্ঘ দিন ধরে একই চাদর ব্যবহার করার ফলে ত্বকে দেখা দিবে নানা সমস্যা- তেলমশলাদার খাবার খাওয়া, পানি কম খাওয়া, ত্বকের পরিচর্যা না করার মতো কিছু অভ্যাস হল ব্রণর অন্যতম কারণ। তবে এগুলি ছাড়াও দিনের পর দিন নোংরা চাদরে ঘুমোলেও ব্রণ হতে পারে। ধরুন আপনি বাইরে থেকে ঘেমে একাকার হয়ে বাড়ি ফিরেই বিছানায় শুয়ে পড়লেন। সেই ঘাম থেকে ব্যাক্টেরিয়াও বাসে বাঁধল চাদরে। ত্বকের কোষে সেই ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ফলেই ব্রণ হয়। যাদের ব্রণের সমস্যা রয়েছে, তারা সপ্তাহে দু’দিন করে চাদর বদলাতে পারলে ভাল।
পরিষ্কার না করে অনেক দিন ধরে একই চাদর ব্যবহার করে গেলে ত্বকে ছত্রাকঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়। এমনিতেই বসন্তে রোগাবালাই হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। তার উপর এমন অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস সেই ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তোলে। তবে বসন্ত বলে নয়, সারা বছরই ঘন ঘন চাদর বদলানো জরুরি।
ছত্রাকঘটিত সংক্রমণের আরও একটি দিক হল অ্যাথলিট ফুট। এতে শরীরের বিভিন্ন অংশে চাকা চাকা দাগ দেখা দেয়। অপরিচ্ছন্ন চাদর থেকে এই ধরনের সংক্রমণ ছড়ায়। ত্বকের এই সমস্যা একবার দেখা দিলে সহজে সারতে চায় না। তাই ঝুঁকি না নিয়ে পারলে দু’-তিন দিন অন্তর চাদর পাল্টে দিন। বিছানার চাদর পরিষ্কার রাখবেন যেভাবে- বাইরে থেকে ফিরে গোসল করে তবেই বিছানায় শোয়ার অভ্যাস করুন।
ঘামে মাখা শরীর নিয়ে বিছানায় শোবেন না।
মেকআপ তুলে ঘুমোতে যান।
ঘুমোতে যাওয়ার ঠিক আগেই গা, হাত-পায়ে ক্রিম মাখবেন না।
বিছানায় বসে খাবার অভ্যাস থাকলে, সেই অভ্যাসে বদল আনুন। মোজা পরে বিছানায় উঠবেন না।