আয়ুর্বেদের গুণেই নিপাত যাবে সর্দি-কাশি
গ্রীষ্মের শুরুর দিন থেকেই সকলের মধ্যে সর্দি-কাশির প্রকোপ বেড়েছে। এসব থেকে মুক্তি পেতে আয়ুর্বেদিক কিছু কার্যকরী ঘরোয়া উপায়ের উপর ভরসা রাখতেই পারেন। তাতে উপকার পাবেন হাতেনাতে। এসব সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বেশি যাদের ইমিউনিটি কম থাকলে, বয়স খুব কম বা বেশি হলে এবং গর্ভবতী মহিলাদের এইসব সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেশি। এছাড়াও অ্যাজমা, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবিটিস থাকলেও মাঝে মধ্যে পিছু নিতে পারে এই ধরনের সমস্যা। তাই এইসব শারীরিক সমস্যা থাকলে যত দ্রুত সম্ভব সাবধান হন।
এই রোগের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে চাইলে কফ বর্ধক বিভিন্ন খাবার যেমন– আইসক্রিম, দুগ্ধজাত যে কোনও খাবার, ঠান্ডা পানীয়, ফাস্টফুড, প্রসেসড ফুড ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। তার বদলে পাতে জায়গা করে দিন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলকী, মোসাম্বি লেবু, কমলালেবু, পেয়ারার মতো ফল। তাতেই বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। সেই সুবাদে দূরে থাকবে একাধিক ছোটবড় সংক্রামক অসুখ। আর একান্তই যদি সর্দি, কাশি, জ্বরের মতো সমস্যার ফাঁদে পড়েন, সেক্ষেত্রে নিয়মিত শুক্ত খেতে হবে। এর পাশাপাশি ডায়েটে থাকুক চিরতা, কালমেঘের পদ। এই কাজটা করলেই কমবে জ্বরের প্রকোপ। এমনকী প্রশমিত হবে শরীরের প্রদাহ। এছাড়া এই সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। তাতেই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে মেনে চলুন এইসব নিয়ম। খেতে পারেন এসব ভেষজ এইসব সমস্যাকে বাগে আনতে চাইলে ১ গ্রাম পিপুল গুঁড়ো মধুর সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন। এছাড়া শুঁঠ, পিপুল, মরিচ চূর্ণ নিয়মিত খেলেও উপকার পাবেন। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি বাসক পাতার রস দিনে দুইবার সেবন করুন। এই নিয়মটা মেনে চললেই বুকে জমে থাকা কফ বাইরে বেরিয়ে আসবে।
এছাড়া এসব সমস্যা সমাধানে মহৌষধির মতো কাজ করে যষ্ঠীমধু। তাই জ্বর, সর্দি, কাশিতে যষ্ঠীমধু চুষে চুষে খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এর পাশাপাশি জ্বর কমাতে খেতে পারেন শিউলি পাতার রস। এমনকী নিয়মিত তালমিছরি খেলেও জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যা কমবে বৈকি।