বিয়ের আগে কত টাকা বেতনে চাকরি করতেন নীতা?
আম্বানিদের বাড়ির বড় বউ নীতা আম্বানির। ধনকুবের মুকেশ আম্বানির সহধর্মিনী। তবে পারিবারিক পরিচয় এটা হলেও, আলাদা পরিচিতি রয়েছে নীতা আম্বানির। রিলায়্যান্স সংস্থার চেয়ারপার্সন নীতা। তিনি ‘ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের কর্ণধার। ‘মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স’-এর মালকিনও নীতা। শুধু সংসার নয়, পারিবারিক ব্যবসাতেও নীতার অবদান রয়েছে। বিয়ের আগে অবশ্য নীতা নাচ-গান নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। নবরাত্রির অনুষ্ঠানে নীতার ভরতনাট্যম নাচ দেখে তাকে ছেলের জন্য পছন্দ করেছিলেন ধীরুভাই আম্বানি। তখন বিয়ের জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না নীতা। শুধু নাচ নিয়েই থাকতে চেয়েছিলেন। পরে অবশ্য হবু শ্বশুরমশাইয়ের জোরাজুরিতে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। নীতার নাচ করা নিয়ে কোনও অসুবিধা ছিল না আম্বানিদের। কিন্তু বিয়ের পরে সংসারে মন দিয়েছিলেন নীতা।
তবে নাচ ছাড়লেও অন্যান্য কাজে নিজেকে ব্যস্ত করে তুলেছিলেন নীতা। তিন সন্তানকে বড় করে তুলেছেন। তাদের মানুষ করেছেন। ধীরে ধীরে পারিবারিক ব্যবসায় যুক্ত হয়েছেন। নীতা যে দায়িত্বগুলি সামলান, সেই পদে অন্য কাউকে নিয়োগ করলে মোটা টাকা মাইনে প্রাপ্য। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না নীতাও কিন্তু বেতন পান। রিপোর্ট বলছে, প্রতি মাসে এখন প্রায় দুই কোটি টাকা বেতন ঢোকে নীতার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। নীতার জীবনের প্রথম বেতন কত ছিল জানেন?
বিয়ের আগে নাচ ছাড়াও একটি নার্সারি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন নীতা। মুম্বাইয়ের ‘সান ফ্লাওয়ার’ নামে একটি স্কুলে পড়াতেন তিনি। সেখান থেকে বেতন পেতেন মাসে ৮০০ টাকা। একটি সাক্ষাৎকারে নিজের মুখেই তা জানিয়েছিলেন নীতা। বিয়ের পরেও স্কুলে পড়াতে চেয়েছিলেন নীতা। কিন্তু তাকে বলা হয়েছিল, আম্বানিদের বাড়ির বৌয়ের ৮০০ টাকার চাকরি মানায় না। তাই আর চাকরিটা করা হয়নি নীতার।