দেশজুড়ে

এক বছরেও উদঘাটন হয়নি কৃষক রায়হান হত্যার রহস্য

কৃষক রায়হান  উদ্দিন হত্যার এক বছর পেরিয়ে গেলেও হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কৃষক রায়হান হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত স্থানীয় শরীফ (২৫) ও আলী হোসেন (৪০) গ্রেপ্তার হলেও তারা জামিনে আছে।  আরও কেউ কেউ সন্দেহের তালিকায় থাকলেও গ্রেপ্তার করা হয়নি। হত্যার মূল রহস্য এখনো অন্ধকারে।

২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল নরসিংদীর রায়পুরায় রায়হান উদ্দিন (৪০) কে  গলা কেটে হত্যা করা হয়। নৃশংসভাবে হত্যার সময় তার বাঁ চোখও উপড়ে ফেলা হয়। উপজেলার আদিয়াবাদ ইউনিয়নের সিরাজনগর নয়াচর গ্রামে বাড়ির পাশের একটি ঘাসক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডের তদন্তকারী সংস্থা অপরাধ তদন্ত বিভাগ ( সিআইডি) নরসিংদী বলছে, এখনো তদন্ত চলছে রায়হান হত্যা মামলার।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, কৃষক রায়হান  হত্যার মোটিভ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি তারা। এ সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া শরীফ ও আলী হোসেনের কাছ থেকে জিজ্ঞাবাদে আশাতীত ফলাফল মেলেনি।

কৃষক রায়হানের ভাই ও মামলার বাদী নাদিম উদ্দিন বলেন, 'দীর্ঘ এক বছর পেরিয়ে গেলেও হত্যাকাণ্ডের আশানুরূপ তদন্ত অগ্রগতি পাচ্ছি না। নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী এ নিয়ে হতাশা ও উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছি। নিহতের স্ত্রী, সন্তান ও পরিবারকে নিয়ে কি অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি বুঝাতে পারবো না। স্ত্রী, সন্তানরা বাবা-স্বামী  হারিয়েছে, তার উপর তারা জানতেও পারছে না কারা,কেন তাকে হত্যা করেছে। এ এক নিদারুণ যন্ত্রণা।'

মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা নরসিংদী অপরাধ তদন্ত বিভাগের (পরিদর্শক)  আমির হোসেন বলেন, হত্যাকাণ্ডের ছয় মাস পরে মামলাটি আমরা পাই,তার আগে রায়পুরা থানা পুলিশের হাতে ছিল মামলাটি। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের শুরুর দিকের অনুসন্ধান ,আলামত, জব্দ ও ক্লু খুব গুরুত্বপূর্ণ। তারপরও আমরা আমাদের মতো এগিয়েছি, আশা করছি খুব শীঘ্রই অগ্রগতির খবর দিতে পারবো।

মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) নরসিংদীর  বিশেষ পুলিশ সুপার মাহফুজ বেগম বলেন, মামলাটির তদন্তে আমি নিজেও স্পটে গিয়েছি। মামলাটি নিয়ে ওদের (নিহতের পরিবার ও বাদীকে) ধৈর্য ধরতে হবে। মামলাটি ক্লু লেস, ক্লু যে আমরা একদম পাইনি তা-না, আবার পুরোপুরি পেয়ে গেছি তা-ও না। মামলাটি হত্যাকাণ্ডের, গেস (অনুমান) করে কিছু বলা যাবে না। আমাকে স্পেসিফিক বলতে হবে কেন,কারা দোষী। না পাইলেও আমাকে বলতে হবে কেন পাইলাম না,পাইলেও আমাকে বলতে হবে কি পাইলাম। ভেতরে ভেতরে যা হচ্ছে, সব তো আর বলা যায় না। সব মিলিয়ে একটু অপেক্ষা করতে হবে। আশা করছি অগ্রগতির খবর  হবে মামলাটির।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন