আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

রাইফেল-বন্দুক সবই আওয়ামী লীগের হাতে : রিজভী

যত অবৈধ রাইফেল, বন্দুক-তলোয়ার সবই আওয়ামী লীগের হাতে। ভোটাররা তো তলোয়ার, রাইফেল নিয়ে যায় না। ভোটকেন্দ্রে তলোয়ার নিয়ে যাওয়া সিইসির বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ মন্তব্য করেন।

আজ সোমবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন ।

রিজভী বলেন, দেশের সাংবিধানিক একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান এই কথাটি কি করে বলতে পারেন। যেখানে ভোটাররা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সেই অধিকার  হচ্ছে ভোটকেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেবে। ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হচ্ছে একেবারে শেখ হাসিনার খাস মানসিক সন্তান।’ ‘প্রধানমন্ত্রী যেভাবে পুরো দেশটাকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য বানিয়েছেন‌, আওয়ামী লীগকে একটি সন্ত্রাসী দল বানিয়েছেন, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাদেরকে বসিয়েছেন। তারা এখন তারই প্রতিনিধিত্ব করছেন।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কেউ তলোয়ার নিয়ে আসলে আপনারা রাইফেল নিয়ে নামবেন, এই কথাটা কেন আসবে? আপনি তো (সিইসি) সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে রয়েছেন। নির্বিঘ্নে-নিশ্চিন্তে মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের পরিবেশ তৈরির দায়িত্ব তো নির্বাচন কমিশনের। যতটুক ক্ষমতা আছে তাতে এতটুকু। আপনি তো এটা করবেন না। যে দিন আপনাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সে দিন থেকে সারা দেশের মানুষ জানে আপনি প্রধানমন্ত্রী নীল নকশা বাস্তবায়ন করবেন।

তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য ভিন্ন ধরনের নীল নকশা করেছে। এই নীল নকশা বাস্তবায়নের প্রধান ম্যানেজার হচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। ২০১৪ সালে প্রতিদ্বন্দ্বীহীন নির্বাচন করেছে আওয়ামী লীগ। ২০১৮ সালে মিড নাইট নির্বাচন করেছে। এবার একটা অন্য ধরনের পরিকল্পনা তাদের আছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রধান ম্যানেজার হচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

রিজভী বলেন, আজ জ্বালানি কেনার টাকা নেই। ব্যাংকে পর্যন্ত টাকা নেই, যা আছে তার অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ও তাদের আত্মীয়-স্বজন উত্তোলন করে বিদেশে পাচার করছে। এই পরিস্থিতিতে জনগণ বেঁচে থাকতে পারবে কি না সেই শঙ্কায় পড়েছেন।

­এসময় আরও উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফৎ আলী সপু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু প্রমুখ।

মেহা

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন