রাফায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, ১৩ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
গাজার রাফাতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে আবু তাহা নামের একটি পরিবারের ৯ সদস্য নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছোট শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটির এক প্রতিবেশি তাকে আবু তাহা পরিবারের একটি বারান্দা থেকে উদ্ধার করেন। ধারণা করা হচ্ছে সে তার পরিবারের একমাত্র জীবিত ব্যক্তি। বাকি সবাই হয়তো ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
অবশ্য রাফাতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা আরও বেশি বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরের তিনটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৩ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে সোমবার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। অবশ্য গাজার মিডিয়া আউটলেট মৃতের সংখ্যা ১৫ বলে জানিয়েছে।
অন্যদিকে গাজা শহরে ইসরায়েলি বিমান দুটি বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন নিহত ও আহত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
গেলো বছরের ৭ অক্টোবর থেকে হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ওই সময় এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা করে ১৩ লাখ মানুষ রাফাহতে এসে আশ্রয় নেন। এখন সেই রাফাতে হামলার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েলিরা।
এছাড়া রাফাতে এই হামলা এমন এক সময়ে হলো যখন ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য হামাসের নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে মিসর।
উল্লেখ্য, গেলো ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ।
টিআর/