আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ওয়ানডে লড়াই

আগামীকাল ভোর ৪ টায় ডানেডিনে ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। মাঠের লড়াইয়ে নামার আগে মুখোমুখি লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে আছে কিউইরা। তবে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে শতভাগ জয় স্বাগতিকদের, এবার সেই ধারা ভাঙতে চায় টাইগাররা।

কালকের ম্যাচের আগে দুই দল ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে ৩৬ বার। যার মধ্যে ২৬টিতেই জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ৯টিতে, পরিত্যক্ত হয়েছে বাকি ম্যাচটি। 

মুখোমুখি লড়াইয়ে ব্যাটিংয়ে সর্বোচ্চ ১০০৩ রান করে রস টেইলর এগিয়ে থাকলেও বোলিংয়ে বাংলাদেশের হয়ে জায়গাটা সাকিব আল হাসান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার উইকেট সংখ্যা ৩৭টি, ব্যাট হাতেও ৬৩৯ রান নিয়ে টাইগারদের সেরা সাকিবই। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সেরা বোলার কাইল মিলস, তার উইকেট সংখ্যা ৩৩।

সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতে কিউইদের সফর থেকে নিজেকে আগেই সরিয়ে নেন সাকিব আল হাসান, নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশ তার সার্ভিস মিস করবে।

এক নজরে দেখে নিন দুই দলের কিছু পরিসংখ্যান

চলতি সিরিজের আগে দল দুটি দশটি সিরিজে অংশগ্রহণ করেছে। যেখানে বাংলাদেশ ২টি ও নিউজিল্যান্ড ৮টি সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে। ১০টি সিরিজে মোট ৩৬টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে বাংলাদেশের ৯ জয়ের বিপরীতে নিউজিল্যান্ডের জয় ২৬টিতে। কোনও রেজাল্ট হয়নি একটি ম্যাচে।

৩৬টি ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ৩০৯/৬। আর নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ৩৪১/৭। বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোর ৭৭/১০, আর নিউজিল্যান্ডের সর্বনিম্ন স্কোর ১৬২/১০। ৩৬ ম্যাচে ব্যাটিংয়ে কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ রান রস টেইলরের ১ হাজার ৩ রান। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান সাকিব আল হাসানের ৬৩৯ রান।

১০টি সিরিজে কিউইদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী সেঞ্চুরি মার্টিন গাপটিলের ৩টি। আর টাইগারদের মাহমুদউল্লাহ ও সাকিবের প্রত্যেকের ২টি করে। চলতি সিরিজে সাকিব না থাকায় মাহমুদুল্লাহর এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ডাক মেরে সর্বোচ্চ এগিয়ে রয়েছেন কিউই খেলোয়াড় টিম সাউদি। তিনি ৫ বার কোন রান করা ছাড়াই আউট হয়েছেন। এরপরই রয়েছেন বাংলাদেশের তামিম ও মুশফিক। উভয়েই ৩ বার করে কোন রান ছাড়াই আউট হয়েছেন।

এক সিরিজে সর্বোচ্চ রান করেছেন নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল। তিনি করেছেন ২৬৪ রান। এরপরই রয়েছেন বাংলাদেশের দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তিনি করেছে ২১৩ রান। সর্বোচ্চ পার্টনারশিপের ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের জুটি করেছিল ২২৪ রান। এ স্কোরটি বাংলাদেশের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ এদের দুজনের ব্যাটে চড়ে ২০১৯ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের দেয়া তিনশ রানের স্কোর টপকে যায় টাইগাররা। এরপরেই রয়েছে কিউইদের উইলিয়ামসন-ব্রুম জুটি। এদের সংগ্রহ ১৭৯ রান। 

সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর ক্ষেত্রে শীর্ষে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। তিনি পেয়েছেন ৩৭ উইকেট। এরপরই রয়েছেন কিউই পেসার কাইল মিলস। যার ঝুলিতে রয়েছে ৩৩ উইকেট। একক পরফরম্যান্সের ক্ষেত্রেও এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে টাইগার পেসার রুবেল হোসেন ২৬ রান দিয়ে পেয়েছেন ৬ উইকেট। অন্যদিকে কিউইদের হয়ে তালিকায় আছেন পেসার টিম সাউদি। তিনিও ৬ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন। কিন্তু রান দেয়ার ক্ষেত্রে ৬৫ রান দেয়ায় তালিকার দ্বিতীয় স্থানে।

বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড দু’দলের দ্বৈরথে সর্বোচ্চ ক্যাচ ধরেছেন বাংলাদেশের মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তিনি ১০টি ক্যাচ ধরেছেন। এরপরই দ্বিতীয় স্থানে যৌথভাবে রয়েছেন বাংলাদেশের তামিম ইকবাল ও নিউজিল্যান্ডের রস টেইলর। উভয়েই ৯টি করে ক্যাচ ধরেছেন। 

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন