দেশজুড়ে

ডেঙ্গু মোকাবিলায় তাপসকে দোষারোপের রাজনীতি না করার আহ্বান খোকনের

আমি মেয়র থাকার সময়  দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আপ্রাণ চেষ্টা করেছি । ২০১৯ সালে ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছিল। তবে ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। দেশের পত্রপত্রিকাসহ সব জায়গায় এ তথ্য উল্লেখ করা হয়। এরপরও মেয়র তাপস ডেঙ্গু আক্রান্ত নিয়ে যা বলেছেন তা বোধগম্য নয়। ডেঙ্গু মোকাবিলায় দোষারোপের রাজনীতি না করে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান ঢাকা ৬ আসনের সংসদ সদস্য সাঈদ খোকন।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে “মশা নিয়ন্ত্রণের কারণে ২০১৯ সালের তুলনায়  ২০২৩ সালে ঢাকায় ডেঙ্গু রোগী অর্ধেক কমেছে”  সম্প্রতি মেয়রের তাপসের  এমন দাবির প্রেক্ষিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাঈদ খোকন এই কথা বলেন।

সাঈদ খোকন বলেন, ২০১৯ সালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। তাঁর এই হাজার চেষ্টার পরেও আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছিল সারাদেশে। সে সময় ডেঙ্গুতে সারাদেশে ১৫৭ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এতে তিনি অত্যন্ত ব্যথিত ছিলেন, অনেক চেষ্টা করেও কিন্তু এই মৃতের সংখ্যা,আক্রান্তের সংখ্যা কমাতে পারেননি।

এ সংসদ সদস্য বলেন,  কিন্তু তিনি খুব দুঃখ,কষ্ট পেলেন যখন বর্তমান যে কর্তৃপক্ষ, তিনি  বললেন, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ছিল এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ হাজার কম ছিল।

তিনি বলেন, ২২ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করে ২০২৩ সালে ডেঙ্গুর আক্রান্তের সংখ্যা তিন লক্ষের অধিক ছিল এবং সারাদেশে মৃতের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৭০৫ জন। এটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্রে একটি জাতীয় দৈনিকের সংবাদে প্রকাশিত হয়। সেখানে সিটি করপোরেশনের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি বলেছেন, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪২ হাজার কম ছিল। যা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে অসত্য।

প্রসঙ্গত, এসময়ে নিজের ব্যর্থতাকে আরেকজনের ঘাড়ে না চাপিয়ে এই ধরনের আচরণ না করারও আহ্বান জানান সাঈদ খোকন।

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন