নিষিদ্ধ কর্মকাণ্ডে জড়ালেন অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি!
সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির। হাতে নেই কোনো সিনেমা, চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনেও হেরেছেন, অনেক চেষ্টার পরেও টিকিয়ে রাখতে পারেননি দ্বিতীয় সংসারও। তবে ঢালিউডে আবারও দুর্দান্ত কামব্যাক করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এজন্য নিয়মিত জিমে গিয়ে নিজেকে ফিট রাখছেন।
কিছুদিন আগে একটি ফটোশুটে অংশ নিয়েছিলেন মাহিয়া মাহি। পরে নিজের ফেসবুকে ওই ফটোশুটের মাত্র এক মিনিটের নাচের ভিডিও শেয়ার করেন। মুহুর্তেই এটি দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে নেট দুনিয়ায়। নেটিজেনদের বেশিরভাগই মাহিকে এমন রূপে দেখে প্রশংসা করেন।
তবে সম্প্রতি একটি অনলাইন জুয়া কোম্পানির শুভেচ্ছাদূত হওয়ার কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছেন এই ঢালিউডের আলোচিত এই নায়িকা। অনলাইন জুয়া কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন মাহি।
তবে আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ এমন সাইটের শুভেচ্ছা দূত হওয়াদের মধ্যে মাহিয়া মাহি-ই প্রথম নন। এর আগে এমন সাইটের বিজ্ঞাপন ও শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নাম জড়িয়েছে জয়া আহসান, অপু বিশ্বাস ও নুসরাত ফারিয়ার। এদের মধ্যে জয়া ও ফারিয়াকে শুধু বিজ্ঞাপনে পাওয়া গেলেও অপু কাজ করেছেন শুভেচ্ছাদূত হিসেবে!
এনিয়ে দর্শক ও ভক্তদের মাঝে কঠোর সমালোচনার ঝড় শুরু হলে তাদের বেশিরভাগই দাবি করেন, ভুল তথ্যে তাঁরা এগুলোতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তবে মাহি তাদের কাতারে না থেকে সব জেনে-বুঝেই জুয়ার কোম্পানির প্রচার করছেন। এমনটাই মনে করছেন মাহির ভক্ত ও নেটিজেনদের অনেকে।
বাংলাদেশের সংবিধান ও আইনে জুয়া খেলা একেবারেই নিষিদ্ধ। সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদে নৈতিকতা রক্ষায় রাষ্ট্রের দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে, জুয়াখেলা নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।তবে সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইন জুয়ার প্রসার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।
এ ধরনের নিষিদ্ধ বেটিং প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হওয়ায় মাহির নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে মাহি মুখে কুলুপ এঁটেছেন। একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। প্রতিবারই মোবাইল কল কেটে দিয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত এই অভিনেত্রী।
এমআর//