আন্দোলন শুরু হতেই সরকার ভীতু : ফখরুল
দমন-পীড়ন করে বিএনপিকে দমানো যাবে না। মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসছে। প্রতিটি থানা-উপজেলায় কিন্তু বড় বড় মিছিল হয়েছে। এর মধ্যেও তারা কেউ থেমে নেই। বললেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এই হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, গেলো সোমবার থেকে আমাদের আবার নতুন করে গ্রামপর্যায়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে। সেটা হচ্ছে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে। গোটা দেশের মানুষ দেখছে, কীভাবে মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসছে। প্রায় প্রতিটি থানা-উপজেলায় কিন্তু বড় বড় মিছিল হয়েছে। এর মধ্যেও তারা কেউ থেমে নেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, সমস্যাটা ওই জায়গায় শেখ হাসিনার, আওয়ামী লীগের। এত নির্যাতন, এত নিপীড়ন, এত হত্যা, এত গুম-খুনের পরেও বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাচ্ছে না। বিএনপি সেই ফিনিক্স পাখির মতো আবার ওই ধ্বংসাবশেষ থেকে জেগে উঠছে, এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় তাদের রাগের কারণ, ভয়ের কারণ।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে তারা বাইরে চিকিৎসা করতে দিতে চায় না। বিরোধিতা করে। কেন? যদি তিনি বেরিয়ে আসেন, তাহলে তারা সামাল দিতে পারবে না। তারেক রহমান যদি দেশে আসেন, তাহলে এখানে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসবে। এই ভয়েই তারা সেটা করতে চায় না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা যারা দেশে আছি আমরাও তারেক রহমান সাহেবের নির্দেশে জেগে উঠছি। জেগে উঠতে হবে, বিকল্প নেই আমাদের কাছে। এই জেগে ওঠার মধ্য দিয়ে, সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা এই দানবকে উপড়ে ফেলে জনগণের একটা সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এই কথা আমরা দিতে পারি, আমরা যদি এই সরকারকে পরিবর্তন করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি, একটা সত্যিকারের জনগণের পার্লামেন্ট আনতে পারি, তাহলে আমাদের এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের সবার পুনর্বাসনের জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জাতীয়তাবাদী হেল্প সেলের উদ্যোগে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ও পুলিশ-র্যাবের হাতে হতাহত নেতাকর্মীদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান করা হয়।
বিআ