আন্তর্জাতিক

চার জিম্মিকে উদ্ধারের দাবি ইসরায়েলের, অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস যোদ্ধাদের কাছ থেকে চার জিম্মিকে উদ্ধার করার দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এসময় তারা অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।

শনিবার (০৮ জুন) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদেনে এ তথ্য জানা গেছে।

ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জিম্মিদের উদ্ধার অভিযানের সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সদস্যরা  ৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার নুসেরাত শরণার্থী শিবিরে জিম্মি উদ্ধার এবং ইসরায়েলি হামলার ঘটনা ঘটে।  আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি এ অভিযানে ৪৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তবে আইডিএফ ‍মুখপাত্র বা ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ নিয়ে কোনো কথাই বলেননি। অভিযানে অ্যাপাচি অ্যাট্যাক হেলিকপ্টারও ব্যবহার করা হয়েছে বলেও আলজাজিরার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে শনিবার সকালে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, আল নুসেরাত এলাকায় একটি সন্ত্রাসী ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে তাদের সেনারা অভিযান পরিচালনা করছে। ওই অভিযানে চার  জিম্মিকে উদ্ধার করা হয় বলে দাবি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর।

তবে হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা সামি আবু জুহরি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর চার জিম্মিকে উদ্ধার করা ইসরায়েলের জন্য একটি ব্যর্থতা। এটি তাদের কোনো অর্জন নয় বলেও হামাসের ওই নেতা মন্তব্য করেন।

শনিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আল নুসেরাতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় নারী ও শিশুসহ কয়েক ডজন লোক হতাহত হয়েছেন। তবে ঠিক কতজন হতাহত হয়েছেন তা উল্লেখ করেননি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা।

উদ্ধার হওয়া চার জিম্মির পরিচয়

এদিকে, শনিবার (০৮ জুন) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে  উদ্ধার  হওয়া  চার ইসরায়েলি নাগরিকের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। তারা হলেন নোয়া আরগামনি (২৫), আন্দ্রে কোজলোভ (২৭), সলমি ঝিভ (৪০) এবং আলমোগ মের জান।  এরমধ্যে নোয়া আরগামনির জন্মস্থান চীনে। উদ্ধার হওয়া ওই ব্যক্তিদের গত ৭ অক্টোবর একটি গানের অনুষ্ঠান থেকে হামাসের যোদ্ধারা গাজায় ধরে নিয়ে গিয়েছিল।   আন্দ্রে কোজলোভ নামের রাশিয়ান নাগরিক ২০২২ সালে রাশিয়া থেকে ইসরায়েলে আসেন।  গত ৭ অক্টোবর হামাস অভিযান চালানোর সময়  নোভা গান উৎসবে নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্ব পালন করছিলেন।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দিনের বেলা চালানো এক জটিল অপারেশনের মাধ্যমে ওই জিম্মিদের উদ্ধার করা হয়েছে।  গাজার নুসেরাত এলাকার দুটি আলাদা স্থানে অভিযান চালায় ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশ।

এমআর//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন