আন্তর্জাতিক

ফ্রিজে গরুর মাংস, ১১টি বাড়ি গুড়িয়ে দিলো পুলিশ

ফ্রিজে গরুর মাংস রাখার অভিযোগে বুলডোজার দিয়ে ১১টি বাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, কোরবানির জন্য আনা দেড় শতাধিক গরু উদ্ধার করেছে তারা। কোরবানির জন্য গরুকে জড়ো করা ও গো-হত্যার ‘অভিযোগে অভিযুক্ত’ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। হন্যে হয়ে অপর ১০ জনকে খুঁজছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন)পুলিশের নির্দেশে ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের আদিবাসী অধ্যুষিত মান্দলা জেলায়।

ভারতের মধ্যপ্রদেশে ২০১২ সালেই গো-হত্যা প্রতিরোধ আইন কঠোর করা হয়েছে।  গরুর মাংস কেনা-বেচা নিষিদ্ধ।  যদি এরাজ্যে কেউ গো-হত্যায় অভিযুক্ত হয়, তবে ৭ বছর পর্যন্ত তার সাজা হতে পারে।

মান্দলা জেলা পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, কোরবানির জন্য নইনপুরের ভাইওয়াহি এলাকায় বিপুল সংখ্যক গরু এনে রাখার তথ্য পেয়েই পুলিশ অভিযান চালায় এবং ১৫০টিরও বেশি গরু উদ্ধার করে। আর বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়  ১১ অভিযুক্তদের ঘরবাড়ি।

ঘর থেকে গরুর চামড়া ও হাড়গোড় উদ্ধারের পর বেআইনিভাবে গো-মাংস বিক্রি রুখতেই এই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ।

মান্দলা জেলার পুলিশ সুপার রজত সাকলেচা বলেন, ‘সন্দেভাজন ১১জনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাদের ঘরের ফ্রিজ থেকে গরুর মাংস, পশুর চর্বি, গরুর চামড়া ও হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় সরকারি পশু চিকিৎসক সেগুলো গরুর মাংস ও হাড়গোড় বলে নিশ্চিত করেন। তবে আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য উদ্ধারকৃত গরুর মাংসের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য হায়দ্রাবাদে পাঠানো হয়। অভিযুক্তদের বাড়িগুলো সরকারি জমিতে নির্মাণ করায় সেগু্লো গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

গরু উদ্ধার ও গরুর মাংস পাওয়ার পর শুক্রবার রাতেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে অভিযুক্তদের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অন্য ১০ জনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এমআর//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন