ফুঁসে ওঠা ভারত থামলো ১৯৬ রানে
সুপার এইটের ম্যাচে টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ। পুরো ২০ ওভার ব্যাট করে উইকেট ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান সংগ্রহ করেছে তারা। স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বেশ মারমুখী দেখা যায় ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা ও ভিরাট কোহলিকে। এরপর একে একে বাকি ব্যাটাররাও দাপট দেখিয়েছেন প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর।
পাওয়ারপ্লেতে বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি ছাড়িয়ে যেতে থাকে রোহিত ও কোহলির শট। প্রথম ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৩ রান করতে সক্ষম হয় ভারত। রোহিতের উইকেটে কিছুটা স্থিরতা এসেছিল তাদের ব্যাটিংয়ে। ভারতীয় ওপেনার ফিরেছেন ১১ বলে ২৩ রান করে। তবে একপ্রান্তে কোহলি ঠিকই ব্যাট চালিয়ে যেতে থাকেন।
বাংলাদেশ দল শেখ মেহেদী হাসানকে বোলিংয়ে এনে ওভার শুরু করে। এর পরের ওভার দেওয়া হয় সাকিব আল হাসানকে। কিছুটা অবাক করেছে এই সিদ্ধান্ত। সে যাইহোক, কোহলির উইকেট বগলদাবা করতে সক্ষম হয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব। ২৮ বলে ৩৭ রান করে ফিরে যান এই ব্যাটার। পরের ডেলিভারিতে সূর্যকুমার যাদবের কাছে ছক্কা খাওয়ার পর, এর পরের বলেই দারুণ এক এক্সট্রা বাউন্সে সূর্যকুমারকে ফিরিয়েছেন তানজিম।
তবে ততক্ষণে রিশাব পান্ট নিজেকে সাজিয়ে নিয়েছেন। থিতু হয়ে বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে ওঠেন এই ব্যাটার। দারুণ সব শট খেলতে থাকেন। পান্টকে ফিরিয়েছেন রিশাদ হোসেন। আগ্রাসী হয়ে ওঠা পান্ট রিভার্স করে শট খেলতে যান, আর তাতে শর্ট থার্ডে দাঁড়িয়ে থাকা তানজিম সাকিবের হাতে ধরা পড়েন। পান্টের ব্যাটে আসে ২৪ বলে ৩৪ রান।
এরপর আবার কিছুটা ধীর হয় ভারতের রান। তবে তা বেশিক্ষণ থাকেনি। হার্দিক পান্ডিয়া ও শিভাম দুবে মিলে ফুঁসে উঠতে থাকেন। দুবে নিজের হাত খুলে ওভার বাউন্ডারি খেলছিলেন, রিশাদের ডেলিভারিতেই একটি ছক্কা হাঁকান, তার পরের বলেও বড় শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হন এই ব্যাটার।
৩ ছক্কায় দুবে ফিরেছেন ২৪ বলে ৩৪ রান করে।
বাকি কাজটুকু হার্দিক পান্ডিয়া একাই করেছেন, ফিরেছেন ফিফটি করে। নিজের জাত আরেকবার চিনিয়ে দিলেন এই ব্যাটার। ইনিংসের শেষ বলে বাউন্ডারি করে ফিফটি পূর্ণ করেন। মাঠ ছেড়েছেন ২৭ বলে ৫০ রান করে।
এম/এইচ