মোবাইল নিয়েই ব্যস্ত থাকে সন্তান! শরীরচর্চায় অভ্যস্ত করবেন যেভাবে
মাঠে গিয়ে কাদা মেখে ফুটবল খেলার দিনও শেষ হতে চলেছে প্রায়। এখনকার ছেলেমেয়েরা ঘরে বসে মোবাইল-ট্যাব দেখতেই অভ্যস্ত। ছুটির দিনটাও আলসেমিতেই কাটিয়ে দেয়। মোবাইল না দিলে আবার কান্নাকাটি, চেঁচামেচি শুরু হয়ে যায়। খেলাধূলার উৎসাহ অনেক কমে গেছে। কিন্তু এই অভ্যাস স্বাস্থ্যকর নয়।
ছোট থেকেই শিশুদের শরীরচর্চার অভ্যাস করানো জরুরি। বড়দের মতো কঠিন ব্যায়াম না হলেও, হালকা যোগাসন, সাঁতার, জগিং, দৌড়নো এইগুলো নিয়মিত করতেই পারে শিশুরা। তবে প্রথমেই এসব করতে রাজি হবে না তারা। তাদের উৎসাহ দিতে হবে ধৈর্য ধরে।
১) প্রথমেই রুটিন তৈরি করে ফেলুন। শিশু রাতে কখন ঘুমোবে, সকালে কখন ঘুম থেকে উঠবে, কখন স্কুলের জন্য বেরোবে, কখন বাড়ি ফিরবে, কতক্ষণ পড়াশোনা করবে— এসব কিছুরই রুটিন থাকা দরকার। তা হলে সেই মতো শরীরচর্চা বা খেলাধূলা করানোর সময় বার করা যাবে।
২) সন্তানকে বলুন, নতুন খেলা শেখাবেন আপনি। তাতে খুব মজা হবে। দরকারে খেলনাও কিনে দিন। সেটা দেখিয়েই তাকে বাইরে নিয়ে যান। এখন অনেক আবাসনেই ছোটদের খেলার আলাদা জায়গা থাকে। যদি তা না-ও থাকে, তা হলে বাড়ির সামনে অথবা ছাদেও নিয়ে যেতে পারেন। স্পট জগিং দিয়ে শুরুটা করতে পারেন। তার পর ফ্রি-হ্যান্ড করান। আপনিও করুন। তা হলে আপনাকে দেখে সন্তান উৎসাহ পাবে।
৩) যোগাসন করাতে হলে কোনও প্রশিক্ষকের থেকে জেনে নেয়াই ভাল। আপনার সন্তানের বয়স, ওজন, উচ্চতা অনুযায়ী তিনি যোগাসন শেখাবেন। সন্তানের কোনও শারীরিক সমস্যা আছে কি না, অথবা কোনও ওষুধ খায় কি না, সেটা আগেই বলে নেবেন।
৪) ব্যায়াম করে গায়ে, হাত-পায়ে ব্যথা হলে সন্তান আর সেটা করতে চাইবে না। তখন বকাবকি না করে ধৈর্য ধরে বোঝাতে হবে। সে দিনটা না হয় অন্য রকম কিছু করালেন। ঘরে গান চালিয়ে অ্যারোবিক্স বা জুম্বা অভ্যাস করাতে পারেন। তার আগে অবশ্য আপনিও কিছু পদ্ধতি শিখে নিন।
৫) শারীরিক কসরতের পরে মেডিটেশনও জরুরি। ছোট থেকেই সন্তানকে অভ্যস্ত করাতে হবে। শিশুরা এমনিতেই ছটফটে। এক জায়গায় হয়তো বসতে চাইবে না। কিন্তু আপনাকেই সেই দায়িত্ব নিয়ে তাকে কমপক্ষে ১৫ মিনিট চুপ করে বসানোর অভ্যাস করাতে হবে। এতে ছোট থেকেই একাগ্রতা, মনঃসংযোগ বাড়বে শিশুর। স্মৃতিশক্তিও উন্নত হবে।
কেএস/